পাক গণমাধ্যমে সরফরাজদের ‘গণধোলাই’

|

বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান পরস্পর মুখোমুখি হয়েছে সাতবার। প্রতিবারই শেষ হাসি হেসেছে টিম ইন্ডিয়া। ফলাফলটা দাঁড়িয়েছে ব্রাজিল বনাম জার্মানি ফুটবল দলের স্কোরলাইনের মতো। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানদের কাছে সাত গোল হজম করে সেলেকাওরা। হলুদ জার্সিধারীরা অবশ্য ওই দিন এক গোল করেছিল।

তবে ক্রিকেট বিশ্বকাপে মেন ইন ব্লুদের একবারও হারাতে পারেনি পাক ব্রিগেড। সবশেষ ইংল্যান্ডে চিরপ্রতিদ্ব্ন্দ্বীদের কাছে ৮৯ রানে হেরেছে তারা।

সেই সূত্র ধরে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদপত্র ডন ইন্দো-পাক মহারণের শিরোনাম করেছে, ভারত ৭ পাকিস্তান ০। এর প্রতিবেদনে পাকিস্তান দলের প্রবল সমালোচনা করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ভালো দলের বিপক্ষে হারলে কারো কিছু বলার নেই। তবে কয়েকটা ব্যাপার নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন। যেমন,দল নির্বাচন, টস জিতে কী করা উচিত ইত্যাদি। মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে হয়। কিন্তু, সুযোগ পেয়েও ভারতের টপ স্কোরার রোহিত শর্মাকে দু’বার রানআউট করতে পারেনি সরফরাজরা।

ম্যানচেস্টারে বল গড়ানোর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শ ছিল, টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয়ার। টস জিতলেও প্রথমে ব্যাটিং নেননি সরফরাজ। ভারতকে আগে ব্যাট করতে পাঠান তিনি।

পাক অধিনায়কের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ডন লিখেছে,ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের উইকেট এশিয়ার মতো ছিল। তবুও কেন প্রথমে ব্যাট নেয়া হলো না, জবাব খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন শিরোনামে লিখেছে, পাকিস্তানকে হারিয়ে রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখল ভারত। জিও টিভির খবরে সরফরাজের অতিরঞ্জিত বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভারতের কাছে বাজেভাবে হারের পরও বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার ভয় পাচ্ছি না। ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী।

পাকিস্তান অবজারভারে হেডলাইন করা হয়েছে, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা জয়ের ধারা বজায় রাখল ভারত। সর্বোপরি, পাক গণমাধ্যমে সরফরাজদের গণধোলাই করা হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply