পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
গত ১৮জুনের নারকীয় তাণ্ডবের দুইদিন পর বাংলাদেশী শ্রমিক ও তাদের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে ভাংচুর ও লুটপাটের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন চায়না কর্তৃপক্ষের বিগ বস্ “ওয়াং লিং পিও”।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনির হোসেন যমুনানিউজকে জানান, কৌশলগত কারণে মামলার আসামীর সংখ্যা এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছেনা। তাছাড়া মামলা দায়েরের পরপরই আমরা তেরজন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদেরকে ব্যাপক জিঙ্গাসাবাদ করা হচ্ছে। বিশেষ করে শ্রমিকদের সাথে বহিরাগত কারা কারা ছিল সে বিষয়টিকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান যমুনানিউজকে জানান, খোয়া বা লুট কৃত মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ন মালামাল আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি আরো উদ্ধার করা যাবে। তিনি বলেন, লুটকৃত মালামালের মধ্যে চায়নাদের ব্যবহৃত ল্যাপটপসহ নাম না জানা আরো গুরুত্বপূর্ন অনেক জিনিসপত্র রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাওয়ার প্লান্টের বাংলাদেশী এক ইঞ্চিনিয়ার যমুনানিউজকে মোবাইল ফোনে জানান, প্রায় কোটি টাকার মালামাল খোয়া গেছে ভিতর থেকে। যে গুলো হামলাকারীরা লুট করেছে। আবার অনেক মালামাল ভেঙ্গে নষ্ট করে ফেলেছে। তিনি জানান, খোয়া যাওয়া মালামালের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হলো ল্যাপটপ। বিশেষ করে বিশ্বের নামীদামী ব্রান্ডের ল্যাপটপ রয়েছে যেগুলো চায়নারা পাওয়ার প্লান্ট নির্মান কাজ শুরু হবার পর থেকে ১৮তারিখ পর্যন্ত ব্যবহার করছিল। তিনি জানান, আরো গুরুত্বপূর্ন অনেক মালামাল লুট করা হয়েছে।
Leave a reply