চু‌রির অ‌ভি‌যো‌গে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে হাত-পা বে‌ধে নির্যাতন, শিক্ষক কারাগারে

|

স্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালী:

টাকা চু‌রি হ‌য়ে‌ছে তাই স‌ন্দেহ ক‌রে শিক্ষার্থী সুমন‌কে হাত-পা বে‌ধে অমান‌বিক নির্যাতন কর‌লেন হুজুর। তারপর এলাকাবাসী সুম‌নের চিৎকার শু‌নে উদ্ধার ক‌রে হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি করায়। এ ঘটনায় অ‌ভিযুক্ত হুজুর‌কে আটক ক‌রে শুক্রবার সকা‌লে আদাল‌তের মাধ্য‌মে জেল হাজ‌তে প্রেরণ কর‌ে পু‌লিশ। ঘটনাটি ঘ‌টে‌ছে পটুয়াখালী সদর উপ‌জেলার হেতালিয়া বায়তুল আহাদ আকন বাড়ি হাফিজি মাদ্রাসায়।

শিক্ষার্থী সুমনের সহপাঠী সাব্বির হোসেন জানান, ১৯ জুন হুজুরের (আহসান উল্লাহ) রুম থেকে দুই হাজার টাকা চুরি হয়। হুজুর সন্দেহ করে বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের থাকার রুমে জোর বেত নিয়ে প্রবেশ করে সুমনের হাত পা বেধে পেটানো শুরু করে। একপর্যায়ে জোর বেত ভেঙ্গে গেলেে তার রুম থেকে লোহার রড নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করে।

শিক্ষার্থী সুমনের মা রেহেনা বেগম জানান, সুমনের সহপাঠী সাব্বির হোসেন আমাদের এসে বিষয় জানালে আমরা মাদ্রাসা যেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে পল্লী চিকিৎসক মতিউর রহমানের কাছে নিয়ে গেলে তিনি বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ তাৎক্ষনিক ভাবে হুজুরকে গ্রেফতার করে।
নির্যাতিত শিশু সুমন বর্তমানে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছে।

হাসপাতালের চিকিৎসক ডা:সেলিম মাতুব্বর জানান, নির্যাতনের ফলে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। সুমন বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী সুমনের বাবা রহিম চৌকিদার পেশায় একজন অটো রিক্সা চালক। তিনি জানান, ছেলেকে দুই বছর আগে মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। ছেলে বর্তমানে কোরআন শরিফ নজরানা পড়ছে।

পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সুমন নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ নির্যাতিত শিশুটির চিকিৎসার খোঁজ খবর রাখছে। অভিযুক্ত শিক্ষক আহসান উল্লাহকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply