একমাসেও জ্ঞান ফিরেনি সেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মুন্নির

|

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জে ভুল ইনজেকশন পুশ করার কারণে এক মাস পার হয়ে গেলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) আইসিইউতে অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী মরিয়ম সুলতানা মুন্নি।

গত ২০ মে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পিত্তথলির পাথর অপারেশন করার আগে কর্তব্যরত নার্স গ্যাসের ইনজেকশনের পরিবর্তে ভুল করে অতিরিক্ত মাত্রায় অজ্ঞান হবার ইনজেকশন পুষ করেন। আর এই ভুল চিকিৎসায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। সেই থেকে মুন্নী অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মোবাইল ফোনে ভুল চিকিৎসার শিকার মুন্নির ভাই বিএম হাসিবুল হাসান রুবেল বলেন, তার বোন মুন্নি এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন আছে। তার অবস্থা তেমন ভালো না। অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছে সে। মাঝে কিছুটা আশা ফিরে এসেছিল। কিন্তু, আবারো সে আগের মতোই আছে। তিনি বলেন, মাঝে মাঝে মুন্নির খিচুনি ওঠে। ডাক্তাররাও তেমন একটা কিছু বলছেন না বলে জানান তিনি।

এদিকে, ভুল চিকিৎসার শিকার মুন্নির ঘটনা তদন্তে গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটির ২৭ মে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের দুই নার্স শাহনাজ পারভিন ও কুহেলিকাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং এর আলোকে ওই দুই নার্সকে চাকরী থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ লিয়াকত হোসেন জানান, এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি কর্তব্যরত ডাঃ তপনকে দোষী সাব্যস্ত না করায় আমরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করিনি।

তদন্ত প্রতিবেদনে কর্তব্যরত ডাক্তার তপন কুমারকে নির্দোষী করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফসর ড. নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, শুধু ডাক্তারদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা ঠিক হয়নি। তিনি,পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্যদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা দরকার। তা‘হলে সঠিক তদন্ত হতো বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরো জানান, তাঁরা প্রতিনিয়ত মুন্নির সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছেন। ইতোমধ্যে মুন্নীর চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই লাখ টাকা দেয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনে আরো টাকা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি ডাক্তার তপন ও নার্স শাহানাজ এবং কুহেলিকাকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযুক্ত চিকিৎসক ও দুই নার্স হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের জন্য জামিন নিয়েছেন। জামিনের সময় শেষ হলে তাদেরকে নিম্ন আদারতে হাজির হতে হবে বলে তিনি জানান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply