৮ মাস পর ফারুক হত্যার রহস্য উন্মোচন, গ্রেফতার ২

|

পাবনা প্রতিনিধি:

দীর্ঘ ৮ মাস পর পাবনায় একটি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান আসামিসহ মাইক্রোবাস আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, আমিনপুর থানার ভাটিকয়া গ্রামের আব্দুর সাত্তার শেখের ছেলে মাসুম শেখ (৩৮) এবং ভাদুরবাগ গ্রামের মৃত ওয়াজেদ কাজী ছেলে আসলাম কাজী সন্টু (২৮)।

পিবিআই পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, পাবনা শহরে বেসরকারি ঔষধ কোম্পানিতে মার্কেটিং অফিসার হিসেবে চাকুরি করতেন রংপুরের উত্তর-বানিয়াপাড়া গ্রামের লিয়াকত আলী ছেলে ফারুক হোসেন (২৭)।
২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর কাজ শেষে পাবনা শহরে ফেরার জন্য ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের মাধপুর বাজার থেকে একটি ছিনতাইকারী চক্রের মাইক্রোবাসে ওঠেন ফারুক। ওই মাইক্রোবাসে আতাইকুলা বাজার এলাকা থেকে আরও দুইজন যাত্রী ওঠেন। কিছুদূর যাওয়ার পর ছিনতাইকারীরা দুই যাত্রীর সর্বস্ব কেড়ে নেন। কিন্তু ফারুক তার টাকা কেড়ে নিতে ছিনতাইকারীদের বাধা দেন। এতে ছিনতাইকারীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ফারুকেরই ব্যাগের ফিতা দিয়ে তার গলায় ফাঁস দিয়ে গাড়ির ভিতরেই হত্যা করেন।

এরপর ছিনতাইকারীরা অন্য দুই যাত্রীকে মাইক্রো থেকে মহাসড়কের এক জায়গায় ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেন। আর ফারুকের মরদেহ বেড়া উপজেলার কাশীনাথপুরে বাজারের পাশে বিরাহিমপুর ব্র্যাক অফিসের সামনে ফেলে রেখে যায়।

এ ঘটনায় ৯ অক্টোবর নিহত ফারুকের ভাই মিজানুর রহমান আমিনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। কিন্তু থানা পুলিশ ৮ মাসেও এর কুল কিনারা করতে পারেনি। শেষে মামলাটি পিবিআই’তে স্থানান্তর করা হয়।

পরে পিবিআই’র পাবনা জেলা প্রধান মামলাটি তদন্তের নির্দেশনা পেয়ে এসআই নজরুল ইসলামের উপর তদন্ত ভার দেন। পিবিআই তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম কিছুদিনের মধ্যেই তথ্য-প্রযুক্তি সহায়তায় মামলার রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম আরও জানান, ফারুক হত্যায় জড়িতরা গত কয়েকমাস ধরে নানা কৌশলে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় পালিয়ে বেড়িয়েছে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় তাদের নিজ বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা ফারুক হত্যায় নিজেদের সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply