যেখানে স্টার্ক সাইফউদ্দিনের পেছনে

|

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ তেমন জাঁকালো নয়। ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ধারাবাহিক বল করবেন এমন বোলার নেই বললেই চলে। বোলাররা লাইন-লেন্থ ধরে রাখতে পারেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে। ডেথ ওভারে পেসাররা প্রচুর রান দিচ্ছেন। এসব অভিযোগের পরও সেরা পারফরমারদের তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। উইকেট সংগ্রহের দিক দিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত সেরা দশে ছিলেন দুই টাইগার পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং মোস্তাফিজুর রহমান। বিশ্বকাপে শুধু পেসারদের উইকেট শিকারের তালিকায় সাইফউদ্দিন অষ্টম স্থানে এবং এরপর রয়েছেন মোস্তাফিজ। দু’জনই নিয়েছেন ১০টি করে উইকেট। সাইফউদ্দিন বাংলাদেশের বোলিংয়ে আস্থা হয়ে উঠছেন।

সাত ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে তালিকায় শীর্ষে মিচেল স্টার্ক। সাইফউদ্দিন ও মোস্তাফিজের পেছনে রয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও ট্রেন্ট বোল্ট। পাওয়ার প্লের নতুন নিয়মের পর ডেথ ওভারে পেসাররা ইয়র্কার দিয়ে সাফল্য পাচ্ছেন। শেষের দিকের ওভারগুলোতে ইয়র্কার দেয়ার চেষ্টা করছেন পেসাররা। ইয়র্কার দিতে গিয়ে ফুলটস বা খাটো লেন্থের বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যে বলগুলোতে সব ব্যাটসম্যানই খেলতে পারেন সহজে। ইয়র্কার দেয়ার বেলায় সাইফউদ্দিন উপরে। এমনকি সর্বোচ্চ উইকেট নেয়া স্টার্কও তার পেছনে রয়েছেন। তালিকায় শুধু লংকান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা আছেন সাইফউদ্দিনের থেকে উপরে। মালিঙ্গা দিয়েছেন ৩৫টি ইয়র্কার। আর স্টার্ক-বুমরাহদের পেছেনে ফেলে দেয়া সাইফউদ্দিন করেছেন ২৫টি ইয়র্কার। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সাইফ খেলেছেন পাঁচ ম্যাচ। ২৮১ রান দিয়ে এই ডান-হাতি পেসার নিয়েছেন ১০ উইকেট। অথচ বিশ্বকাপে যাওয়ার কয়েক মাস আগেও সাইফউদ্দিন সেরা একাদশে ছিলেন না। রুবেল হোসেনকে বিশ্বকাপে দলের অন্যতম বাজি মনে করা হয়েছে। এই অভিজ্ঞ পেসার সাইফউদ্দিনের ইনজুরিতে এক ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়ে দু’হাত ভরে রান দিয়েছেন। এমনকি দেশসেরা পেসার মোস্তাফিজুরের চেয়েও শেষদিকে ধারাবাহিক সাইফউদ্দিন।

তবে রান দেয়ার ক্ষেত্রে সেরা ১০ বোলারের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে সাইফউদ্দিন। তার ইকোনমি রেট ৬.৬৯। রান দেয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে মোস্তাফিজ। তার ইকোনমি রেট ৬.৭০। শীর্ষ দশে থাকা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কম খরুচে প্যাট কামিন্স (৪.৮৭)। বাংলাদেশের সাইফউদ্দিন ও মোস্তাফিজের সমান ১০ উইকেট নিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিব আল হাসানও। তিনি ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৫.৫৭ ইকোনমি রেটে। ছয় ম্যাচে পাঁচ উইকেট পেলেও মিরাজের ইকোনমি রেট তাদের চেয়ে কম (৫.৪৫)।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply