বাংলাদেশ দলের জন্য ইংল্যান্ডে উড়ে গেল ৫ হাজার চিঠি!

|

জমে ক্ষীর ইংল্যান্ডে চলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১২তম আসর। ৩৭ ম্যাচ হয়ে গেছে ইতিমধ্যে; অথচ অস্ট্রেলিয়া ছাড়া আর কোনো দলই সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে পারছে না।

প্রতিটি ম্যাটে যেন এক একটি ইতিহাস সৃষ্টি হচ্ছে। হঠাৎ করেই নজর কাড়ছেন ১০ দলের খেলোয়াড়দের কেউ কেউ।

তবে এরই মধ্যে বেশ নজর কেড়েছেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। গ্যালারিতেও বেশ সপ্রতিভ বাংলাদেশি সমর্থকরা। নিজের দেশের ম্যাচ হোক বা অন্য দেশের ম্যাচ- প্রতি ম্যাচেই বিভিন্ন বেশভুষায় হাজির হয়ে খেলা উপভোগ করছেন তারা।

তবে বাংলাদেশের ম্যাচে সমর্থকদের সরব উপস্থিতি, সমর্থন ও হৈহুল্লোড় চোখে পড়ার মতোই।

বিষয়টি নজরে এসেছে কিউই ব্যাটসম্যান রস টেইলরের।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচশেষে রস টেইলর বলেই ফেলেছিলেন, ‘মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড নয় যেন ঢাকা বা চট্টগ্রামে খেলছি।’ সমর্থকদের এমন ভালোবাসা ও উচ্ছ্বাসের ধন্যবাদ জানিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক ও অন্য ক্রিকেটাররা।

ইংল্যান্ডে বসবাস করা বাংলাদেশির সংখ্যা বেশি হওয়ায় এমন সমর্থন পাচ্ছেন মাশরাফিরা। এ ছাড়া দেশ থেকেও অনেকে সেখানে পৌঁছেছেন দেশকে সমর্থন দিতে। এবার এক কাণ্ড যেন সব সমর্থন ছাড়িয়ে গেল।

অভিনব এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন রাবেত খান নামে এক বাংলাদেশি সমর্থক।

যারা ইংল্যান্ডে যেতে পারেননি, তাদের পক্ষ থেকে টাইগারদের কাছে ভালোবাসা পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন তিনি।

হাতে লেখা প্রায় ৫ হাজার চিঠি মাশরাফিদের কাছে পাঠালেন তিনি। সব চিঠিতেই রয়েছে সেমিফাইনালে উঠতে বাংলাদেশ দলের জন্য দোয়া ও শুভকামনা।

জানা গেছে, এসব চিঠি রাবেত খান জোগাড় করেছেন বিভিন্ন স্কুল, অফিস, বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে। আর সব চিঠি সংগ্রহ করে একসঙ্গে ডিএইচএলের মাধ্যমে ইংল্যান্ডে পাঠান এই বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্ত।

এতগুলো চিঠির ওজন গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ২০ কেজি। এত ওজনের এই বাক্সটি পেয়ে বিস্ময় ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ শিবিরে।

এই চিঠির বাক্স সেখানে নিয়ে গেছেন বিশিষ্ট ক্রিকেট সংগঠক ও কোচ শহিদুল আলম রতন। এত ওজনের বাক্স পেয়ে বিস্মিত হন টিম টাইগার সদস্যরা।

তবে শহিদুল আলম রতন অভয় দেন, এখানে দলের জন্য দেশবাসীর শুভকামনার চিঠি রয়েছে কেবল।

চিঠিগুলো পৌঁছানোর পর পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শহিদুল আলম রতন জানান। তিনি বলেন, চিঠিগুলো পেয়ে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন টিম বাংলাদেশের সদস্যরা।

জাতীয় ক্রিকেট দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন, মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম, বিসিবির অপারেশনস কমিটির পরিচালক আকরাম খান এত ব্যস্ততার মধ্যেও অনেক চিঠি পড়ে দেখেন।

শহিদুল আলম রতন আরও জানান, টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে সিদ্ধান্ত হয় যে, এই ৫ হাজার চিঠির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু চিঠি ড্রেসিংরুমে লাগিয়ে রাখা হবে। দলের মিটিংয়ে বেশ কিছু চিঠি পড়ে শোনানো হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply