৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ : মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দম্পতি গ্রেফতার

|

বগুড়া ব্যুরো:

এক ডজন ভূয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থী ও চাকুরিপ্রত্যাশীদের ৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বগুড়ার এক দম্পতি। আল ফারাবি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম-আকলিমা খাতুন দম্পতিকে আসামী করে বগুড়া সদর থানায় রোববার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাও করেছে পুলিশ।

সদর থানা পুলিশ জানায়, বগুড়া শহরের বড় কুমিরা এলাকার নুরুল ইসলাম ২০১৬ সালে শহরের কলেজ রোড এলাকার সাধারণ বীমা ভবনসহ সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় ভবন ভাড়া নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং, প্যারামেডিকেল সায়েন্স, চারুকলা ও বিএড কলেজসহ বিভিন্ন নামে ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলেন। সরকারের কোনো অনুমোদন না থাকলেও ওই সময় এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ দেয়ার নামে তিনি শিক্ষার্থীদের কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দেয়ার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়েও নেন নুরুল। পরবর্তীতে তিনি তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্ত্রী-সন্তান-স্বজনদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে টাকাগুলো স্থায়ী আমানত হিসেবে জমা রাখেন।

পুলিশের হাতে আসা তথ্যমাফিক আত্মসাত করা টাকার মধ্যে নুরুল ইসলামের নামে রূপালী ব্যাংকের বগুড়া কর্পোরেট শাখায় ৯০ লাখ টাকা, তার স্ত্রী আকলিমার নামে উত্তরা ব্যাংকের বগুড়া শাথায় ৪৫ লাখ টাকা, তিন সন্তান আতিক, রনক ও ফাতিমার নামে রুপালী ব্যাংকের কর্পোরেট শাখায় ৯০ লাখ টাকা এবং আইএফআইসি ব্যাংকের বগুড়া শাখায় শ্যালিকা নাজমিন আক্তারের নামে ৩ কোটি টাকাসহ মোট ৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।

সিআইডির ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের ইন্সপেক্টর ইব্রাহিম হোসেন জানান, নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের অনুসন্ধানে এসব ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী আকলিমা খাতুন ও শ্যালিকা নাজমিন আক্তারকে আসামী করে বগুড়া সদর থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ইন্সপেক্টর লুৎফর রহমান যমুনা নিউজকে জানান, মামলা দায়েরের পরই গ্রেফতার করা হয়েছে এই দম্পতিকে। নুরুল ইসলামের শ্যালিকা নাজমিন আক্তারকে গ্রেফতারেও অভিযান চলছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply