নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড। এর আগে তিনবার ফাইনাল খেললেও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি ইংলিশদের। তবে এবার সেই ভুল করেননি জস বাটলার-বেন স্টোকরা।
এ নিয়ে নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পেল ক্রিকেট দুনিয়া। অনন্য গৌরব অর্জনের দিনে শেষ পর্যন্ত লড়েছেন স্বাগতিকরা। পরে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও টাই। তাতেও দুদলের স্কোর হয় সমান। তবে বাউন্ডারির হিসাবে ব্ল্যাক ক্যাপসদের ছাড়িয়ে স্বপ্নের ট্রফি জিতে নেয় ইংল্যান্ড। স্বপ্নভঙ্গ হয় নিউজিল্যান্ডের। দোর্দণ্ড খেলেও ট্রফি জিততে না পারার আক্ষেপে পুড়ছেন তারা।
স্বাভাবিকভাবেই ওশেনিয়া অঞ্চলের দলটির পাশে দাঁড়াচ্ছেন ক্রিকেটানুরাগীরা। অনেকেই আইসিসির এ নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তেমনি একজন হলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর। তিনি ‘টুইট’ করেছেন এই ভাষায়- বুঝলাম না বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো ম্যাচের ভাগ্য কীভাবে বেশি মারা বাউন্ডারির সংখ্যা দিয়ে নির্ধারিত হয়। এটি আইসিসির হাস্যকর নিয়ম।
তা হলে কীভাবে নির্ধারিত হতো চ্যাম্পিয়ন? সেই সমাধানও বাতলে দিয়েছেন ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ওপেনার। তিনি বলেন, ম্যাচটি টাই হওয়া উচিত ছিল। অর্থাৎ যৌথ চ্যাম্পিয়ন! নখ কামড়ানো ফাইনাল উপহার দেয়ার জন্য নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড দুদলকেই আমি অভিনন্দন জানাব। আমার মতে, উভয়ই জয়ী!
রোববার ক্রিকেটের মক্কাখ্যাত লর্ডসে ৫০ ওভারের ম্যাচে দুদলের ইনিংসই থামে ২৪১ রানে। ফলে ম্যাচ নিষ্পত্তির জন্য সুপার ওভারের আশ্রয় নেন আম্পায়াররা। এতে নিউজিল্যান্ডকে ১৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় ইংল্যান্ড। জবাবে সমান ১৫ রানই তুলতে সক্ষম হয় কেন উইলিয়ামসন বাহিনী। শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারি বেশি হাঁকানোয় বিজয়ী ঘোষিত হয় মরগ্যান ব্রিগেড।
অদ্যাবধি ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার সুযোগ পায় ক্রিকেটবিশ্ব। সেই মঞ্চেই স্নায়ুচাপ ধরে রেখে কিউইদের ছাপিয়ে শেষ হাসি হাসেন ইংলিশরা।
Leave a reply