রংপুরে নেয়া হচ্ছে এরশাদকে

|

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিরোধী দলীয় নেতা এইচ এম এরশাদের মরদেহ আজ নেয়া হবে নিজ শহর রংপুরে। সেখানে আরেক দফা জানাজা হবে। তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেলিকপ্টারে করে রংপুর নেয়া হবে মরদেহ। এরশাদের জানাজাকে কেন্দ্র করে রংপুর ও আশপাশের জেলাগুলোতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা।

এরআগে গতকাল দুই দফা জানাজা হয় এরশাদের। সকালে সংসদ ভবনের জানাজায় অংশ নিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ফুল দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেও। এরপর কাকরাইলে নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। বাদ আসর বায়তুল মোকাররমে হয় এরশাদের ৩য় জানাজা।

এদিকে রংপুরে ব্যাপক লোক সমাগম ও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থেকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক পুলিশের টিম মোতায়েন থাকবে। জানাজা সুশৃঙ্খলভাবে শেষ করে শান্তিপূর্ণভাবে সবাই যাতে চলে যেতে পারে সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করা হবে বলে জানিয়েছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলিম মাহমুদ।

শুধু তাই নয়, রংপুরের ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। মহানগর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জানান, স্যার আমাদের জন্য অনেক করেছেন। আজ তিনি নেই। তার সম্মানে আমরা আধাবেলা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওষুধ ও খাবার ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

জাতীয় পার্টি সূত্র জানায়, এরশাদের মরদেহের সঙ্গে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু।

মঙ্গলবার বাদ জোহর রংপুর ঈদগাহ মাঠে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ জানাজা শেষে তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে আবার ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। বাদ আসর সামরিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।

এদিকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের দাবি, তাদের প্রিয় নেতাকে রংপুরেই দাফন করা হোক। তারা সেখানে কবরের জায়গাও নির্ধারণ করে রেখেছেন।

কিন্তু দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ জানিয়েছেন, ‘বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফনের ইচ্ছা এরশাদ সাহেব নিজেই প্রকাশ করে গেছেন।’

দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরও একই কথা বলেন যুগান্তরকে। তিনি বলেন, ‘আমাকেও তিনি একই কথা বলে গেছেন। রাতে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বনানী সামরিক কবরস্থানেই এরশাদকে দাফন করা হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply