বিমানবন্দর থেকে বাসভবনের উদ্দেশে আনিসুল হকের মৃতদেহ

|

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মরদেহ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তার বনানীর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেস বিমানবন্দর থেকে বের হয়। এর আগে ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকায় এসে পৌঁছায়।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইট লন্ডন থেকে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছে।

গতকাল স্বজনরা জানিয়েছিলেন, সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় এসে পৌঁছাবে আনিসুলের মরদেহ বহনকারী বিমান। সে অনুযায়ী, দুপুর সাড়ে ১২টায় মরদেহ আনিসুল হকের বাসভবনে এবং বিকাল ৩টায় আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখার কথা ছিল। 

তবে অনিবার্য কারণে ঢাকায় পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাওয়ায় পরবর্তী নির্ধারিত সময়সূচিতেও পরিবর্তন আসতে পারে। আজ বাদ আছর আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে আনিসুল হককে তার মায়ের কবরের পাশে এবং ছোট ছেলের কবরে দাফন করা হবে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে (লন্ডনের স্থানীয় সময় ৪টা ২৩ মিনিট) লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন আনিসুল হক। চিকিৎসকরা তার কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসযন্ত্র (ভেন্টিলেশন যন্ত্র) খুলে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।এ সময় তার স্ত্রী রুবানা হক, ছেলে নাভিদুল হকসহ আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।

এদিকে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, কাল আর্মি স্টেডিয়ামে আরেক দফা জানাজা শেষে আনিসুল হককে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। সেখানে ছোট ছেলে শারাফুল হকের কবরেই শায়িত হবেন আনিসুল। ২০০২ সালে ৬ বছর বয়সে মারা যান আনিসুল হক ছোট ছেলে শারাফুল হক

লন্ডন সফরে গিয়ে গত ৪ আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়েন আনিসুল হক। ভর্তি হন স্থানীয় ওয়েলিংটন হাসপাতালে। মস্তিস্কের রক্তনালীতে প্রদাহজনিত ‘সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিস-এ’ আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। আনিসুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শোক জানিয়েছেন।

মেয়রের মৃত্যুতে আজ থেকে ৩ দিনের শোক পালন করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। এছাড়া আরও জানানো হয়, আগামীকাল করপোরেশনের অফিস বন্ধ থাকবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply