নিখোঁজের ৯ দিন পর যুবকের মাটিচাপা লাশ উদ্ধার

|

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষীপুরের রামগঞ্জে নিখোঁজের ৯ দিন পর মোঃ সুমন নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ। আজ রোববার বিকালে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের উত্তর নাগমুদ গ্রামের মিঝি বাড়ির পরিত্যক্ত বাগান থেকে মাটিচাপা অবস্থায় বস্তাবন্দি মোঃ সুমনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ।

নিহত মোঃ সুমন কুমিল্লা জেলার মুরাদপুর সুজানগর গ্রামের মোঃ ইউনুছ আলীর ছেলে ও শহরের সোনাপুর বাজারের একটি মুদি দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় একই দোকানের অন্য কর্মচারী মোঃ সোহেলকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত মোঃ সোহেল রামগঞ্জ উপজেলার নাগমুদ চৌকিদার মিঝি বাড়ীর বাবুল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, রামগঞ্জ পৌর সোনাপুর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মোঃ ইউসুফের দোকানে কুমিল্লার মোঃ সুমন ও সোহেল হোসেন নামের ২ যুবক বেশ কয়েক বছর যাবত চাকরি করতো। দীর্ঘদিন একই দোকানে কর্মরত থাকায় সোহেলের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে কুমিল্লার সুমনের সাথে। সুমন রামগঞ্জের সোহেলকে বেশ কিছু টাকা ধার দেয়। পাওনা টাকা নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো দুজনের মাঝে।
এরই সূত্র ধরে চলতি মাসের ২১ জুলাই রাত থেকে মোঃ সুমন নিখোঁজ হয়ে যায়। নিখোঁজের পর সুমনকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে সুমনের পিতা ২৭ জুলাই শনিবার রামগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে রামগঞ্জ থানা পুলিশ শনিবার বিকেলে সোহেলের বাড়ি থেকে তার বাবা বাবুল মিয়াকে আটক করে। বাবাকে আটকের খবর পেয়ে মোঃ সোহেল শনিবার রাতে রামগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
আজ রবিবার বিকেলে সোহেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রামগঞ্জ উপজেলার নাগমুদ মিঝি বাড়ির পশ্চিম পাশের পরিত্যক্ত বাগানের মাটির নিচ থেকে সুমনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, সোহেলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুমনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply