ঘণ্টায় ৪৫ জন করে ভর্তি: ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে ৫০ জেলায়

|

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৭টি জেলায় ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটেছে। এ নিয়ে ৫০ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গুজ্বর।

এ সময়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৫ জনের বেশি। নতুন করে আরও পাঁচজন ডেঙ্গুতে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগী সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থান সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের ফ্লোর, বারান্দাসহ বিভিন্ন খালি জায়গায় রোগীদের রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শুধু জুলাই মাসের ২৯ দিনে ভর্তি হয়েছেন ১১ হাজার ৪৫০ জন।

আর গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ হাজার ৬৩৭ জন। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। তবে বেসরকারি বিভিন্ন সূত্রমতে, মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৫ গুণ এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১০ গুণ বেশি।

তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধূম্রজাল কাটছে না। রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালে রোগীদের তিল ধারণের অবস্থা না থাকলেও অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমে তথ্য আসছে ১২টি সরকারিসহ ৩৫টি হাসপাতাল থেকে।

অথচ ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিবন্ধিত ও অপেক্ষমাণ বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যই প্রায় ৩শ’। সেই হিসাবে মাত্র ৭ ভাগ ডেঙ্গু রোগীর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আর ৯৩ ভাগ তথ্যই অজানা থেকে যাচ্ছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।

এদিকে ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ২ দশমিক ৮ ভাগ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তথ্য প্রকাশ হয়। অর্থাৎ ৯৭ দশমিক ২ ভাগ রোগীর তথ্যই থেকে যায় অপ্রকাশিত। ইউনিভার্সিটির ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড পপুলেশন হেলথ, রিসার্চ স্কুল অব পপুলেশন হেলথ এ গবেষণা পরিচালনা করে।

চলতি মৌসুমে রাজধানীতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে- এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে তিন মাস আগেই সিটি কর্পোরেশনসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে- সে ব্যাপারেও দেয়া হয়েছিল প্রয়োজনীয় সুপারিশ।

কিন্তু এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় ঢাকা উত্তর সিটিতে ৫৮ ও দক্ষিণে ৭৮ শতাংশ এলাকায় এডিসের লার্ভার উপস্থিতি দেখা গেছে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক জরিপে উঠে এসেছে।

যদিও দুই সিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এ জরিপের আগেই মশক নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। রাজধানীর মশা যে ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে, সে বিষয়ে প্রায় এক বছর আগে সিটি কর্পোরেশনকে সতর্ক করেছিল আইসিডিডিআর,বি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত মার্চে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পক্ষ থেকে এডিস মশার ওপর একটি জরিপ চালানো হয়। তখনই আমরা এমন পরিস্থিতির বিষয়টি ধারণা করি এবং সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাই।

এ ধরনের আশঙ্কা থেকেই আমরা চিকিৎসকদের বিষয়টি অবহিত করি এবং ডেঙ্গু গাইডলাইন আপডেট করি। ইতিমধ্যে ১০ হাজার গাইডলাইন চিকিৎসকদের হাতে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকায় এডিস মশার লার্ভা আগের চেয়ে আরও বৃহৎ পরিসরে বেড়ে ওঠার প্রমাণ পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উদ্যোগে জুলাই মাসে ১০ দিন ধরে পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে এই ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। দুই সিটির ১০০টি এলাকায় পরিচালিত এ জরিপে সব কটি এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গুর ভয়াবহতা পর্যবেক্ষণে চলতি মাসেই ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৬৯টি এলাকায় এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি এলাকায় জরিপ পরিচালনা করা হয়। এতে দেখা গেছে, রাজধানীর উত্তরা, গুলশান, বনানী, ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, গেণ্ডারিয়া, বনশ্রীর মতো এলাকাগুলোতে বাড়িঘর-অভিজাত স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা বেশি পাওয়া গেছে।

তবে দুই সিটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি পাওয়া গেছে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কীটতত্ত্ববিদদের তত্ত্বাবধানে ১৮ থকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত এ জরিপ পরিচালিত হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা উত্তরের ৫৮ এবং দক্ষিণের ৭৮ শতাংশ এলাকায় বেশি মাত্রায় লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আবার নির্মাণাধীন ভবনের অস্থায়ী চৌবাচ্চা, মেঝেতে জমিয়ে রাখা পানি এবং দোকান অধ্যুষিত এলাকায় ডাবের খোসা ও গ্যারেজের টায়ারের শতভাগেই লার্ভা মিলেছে। অন্যদিকে বড় মশার ক্ষেত্রে গত মার্চ মাসের চেয়ে এ দফার সার্ভেতে ১০ গুণ বেশি এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ শাখার ডিপিএম (ডেঙ্গু) ডা. এমএম আক্তারুজ্জামান বলেন, আমরা শুধু অভিজাত এলাকায় এডিস মশার কথা এতদিন ধরে বললেও এর সঙ্গে বর্জ্যরে মধ্যে লার্ভার অস্তিত্ব পেয়েছি।

বিশেষ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অপরিষ্কার বর্জ্যস্তূপে থাকা ডাবের খোসা, টায়ার, বিভিন্ন ধরনের পাত্রের (যার ভেতর পানি জমে থাকে) ভেতর এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, জরিপ বিশ্লেষণ করে ফলাফল পেতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তখন আরও বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, গত বছর যখন সারা দেশে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল তখনই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম এ বছরের বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে।

এমনকি স্বাস্থ্য অধিদফতর গত মার্চে জরিপ করে দুই সিটি কর্পোরেশনকে সতর্ক করে। দুই সিটির উচিত ছিল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সতর্কতাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। বর্ষার শুরুতেই যদি তারা সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করত তাহলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।

বর্তমান পরিস্থিতিতে মশা নিয়ন্ত্রণের উপায় জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কীটতত্ত্ববিদ মো. খলিলুর রহমান বলেন, মার্চের জরিপেই আমরা দেখেছি ঢাকার কোন কোন এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব বেশি। বিশেষ করে যেসব এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের সংখ্যা বেশি, সেসব এলাকায় যদি মার্চ বা এপ্রিলে লার্ভিসাইট (এডিস মশার প্রজননস্থল) ধ্বংস করা হতো তাহলে পরিস্থিতি এত প্রকট আকার ধারণ করত না।

তিনি বলেন, জুলাই মাসে স্বাস্থ্য অধিদফতর পরিচালিত জরিপের ফলাফল দেখেও যদি দুই সিটি কর্তৃপক্ষ লার্ভিসাইট এবং অ্যাডাল্ট (প্রাপ্তবয়স্ক) মশা ধ্বংস করতে পারত তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো।

স্বাস্থ্য অধিদফতর মার্চে ডেঙ্গু প্রকোপের ব্যাপারে সতর্ক করার পরও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধনের ব্যাপারে দৃশ্যমান তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন যুগান্তরকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর সতর্ক করার আগ থেকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মশক নিধন কাজের ব্যাপারে সতর্ক ছিল এবং রুটিন কাজগুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন করেছে।

এসব কার্যক্রম গণমাধ্যমে প্রচারিত বা প্রকাশিত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এখন এডিস মশার প্রজনন মৌসুম। এ কারণে কিছুটা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তবে এশিয়ার দেশগুলোর দিকে তাকালে আমরা বেশ ভালো আছি, এটা বলা যায়। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে চেষ্টা করছি। আশা করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডেঙ্গু বা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হব।’

একই বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর সতর্ক করার আগ থেকেই সিটি কর্পোরেশন রুটিন মশক নিধন কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করে আসছিল। এখন এডিস মশার প্রজনন মৌসুম হওয়ায় একটু বেশি কাজ করতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি মার্চে দায়িত্ব গ্রহণ করে দেখেছি মশক নিধন কাজগুলো ভালোভাবে চলছিল। আমার নেতৃত্বে এ কাজগুলো আরও বেগবান হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব কার্যক্রম আরও পরিকল্পিতভাবে করার প্রচেষ্টা থাকবে।’

ঢামেকে পরীক্ষা করানো ৮০ ভাগই ঢাবি শিক্ষার্থী : ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ডেঙ্গু সন্দেহে রক্ত পরীক্ষা করতে যাওয়া রোগীর ৮০ ভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী। এমনটি জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের শিক্ষক মো. আনিসুর রহমান।

তিনি জানান, বর্তমানে ঢামেক ভাইরোলজি বিভাগের ল্যাবরেটরিতে প্রতিদিন ৯০ থেকে ১০০ জন জ্বরের রোগী ডেঙ্গু পরীক্ষা করান। এসব রোগীর ৮০ শতাংশই ঢাবির শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলোতে যত্রতত্র এডিস মশার প্রজননের সহায়ক উপাদান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।

বিএসএমএমইউর ডেঙ্গু শয্যা সংখ্যা ১৫০-এ উন্নীত : ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেঙ্গু চিকিৎসাসেবা সেলের শয্যা সংখ্যা ৪০ থেকে ১৫০-এ উন্নীত করা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ওয়ার্ড, শিশু মেডিসিন ওয়ার্ড, ডেঙ্গু চিকিৎসা সেল, কেবিন এবং আইসিইউতে ৭৬ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ৬০টি নতুন শয্যা ক্রয় করা হয়েছে। প্রয়োজনে শয্যা সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে।

মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. হাসান ইমাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ জন জ্বর নিয়ে আসেন। এসব রোগীর অধিকাংশই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত। তবে বেশিরভাগ রোগীরই ভর্তির প্রয়োজন পড়ে না।

ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি : স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। ঢাকা জেলায় ১৩৬, এর মধ্যে গাজীপুরে ৯১ জন, গোপালগঞ্জে ৫, মাদারীপুরে ১৪, মানিকগঞ্জে ১৬, নরসিংদীতে ২, রাজবাড়ীতে ৯, শরীয়তপুরে ৭, টাঙ্গাইলে ৮, মুন্সীগঞ্জে ৮, কিশোরগঞ্জে ৫৬, নারায়ণগঞ্জে ১৮ জন। চট্টগ্রামে ১৪৮, ফেনীতে ৫৯, কুমিল্লায় ৪৮, চাঁদপুরে ৭৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪, লক্ষ্মীপুরে ১২ এবং নেয়াখালীতে ২৩ ও কক্সবাজারে ৭ জন। খাগড়াছড়িতে ৪, রাঙ্গামাটিতে ১ জন। খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯৬, কুষ্টিয়ায় ৩৩, যশোরে ৪৪, ঝিনাইদহে ১৪, বাগেরহাটে ৪, সাতক্ষীরা ৮, চুয়াডাঙ্গা ৪, রাজশহীতে ৫৩, বগুড়ায় ৬০, পাবনায় ৩৮, সিরাজগঞ্জে ৮, নওগাঁয় ২, চাঁপাইনবাগঞ্জ ৯, নাটোর ১ জন। রংপুর ৪৫, লালমনিরহাট ১, কুড়িগ্রাম ৩, গাইবান্ধা ৩, নীলফামারী ২, দিনাজপুর ১, পঞ্চগড় ১, ঠাকুরগাঁও ৪। বরিশালে ৪২ জন, পটুয়াখালী ৬, ভোলা ৬, পিরোজপুর ২, ঝালকাঠি ১ এবং সিলেটে ৩০ জন।
সূত্র: যুগান্তর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply