কাশ্মির বিভক্তির বিল পাসের পর অমিত শাহ’র উচ্ছ্বসিত টুইট

|

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, আমি এমন এক রাজনৈতিক দলের অংশ হতে পেরে গর্বিত যা কাশ্মিরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশহিসেবে বজায় রাখতে পেরেছে। খবর নিউজ এইটিন।

মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মির পুনর্গঠন বিল পাসের পর এক টুইট বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।

টুইটে অমিত শাহ আরও বলেন, এ কাজের জন্য নিজেকে নিবেদন করে দিয়েছিলেন ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। আজকের এই সিদ্ধান্ত তার প্রতি এক শ্রদ্ধাঞ্জলি। এই সংগ্রামে অংশ নেয়া প্রত্যেক কর্মী ও রাষ্ট্রভক্তদের অভিনন্দন জানাই।

আরেকটি টুইটবার্তায় তিনি জানিয়েছেন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫-ক ধারা প্রত্যাহারের ফলে জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখের মানুষ নতুন ভারতের অগ্রগতির অংশীদার হবেন।

৭০ বছর ধরে নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করে আসছেন এ অঞ্চলের মানুষ আর আজ তারা জয়লাভ করেছেন। দলের প্রত্যেকটি সমর্থক ও সদস্যকে এ জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন অমিত শাহ।

টুইটবার্তায় তিনি বলেন, আজকের এই দিন প্রত্যেক ভারতীয়দের জন্য একটি গৌরবের দিন। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ৭০ বছর পরে ভারত ন্যায়বিচার পেল। ভারতের অখণ্ডতার প্রতি এটি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধার্ঘ্য, কাশ্মির থেকে কন্যাকুমারীর প্রতিটি মানুষের জন্য মোদি নিজেকে নিবেদন করেছেন তা আবার প্রমাণিত হলো।

মঙ্গলবার লোকসভায় পাস হয়ে গেছে জম্মু-কাশ্মির পুনর্গঠন বিল। ফলে জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখ দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পেতে চলেছে ভারত।

এর আগে সোমবার সকালে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব করেন। সংসদের অনুমোদনের পরই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন।

রাষ্ট্রপতির সইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই কাশ্মিরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেয়া ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হয়। সেই সঙ্গে একটি স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের মর্যাদাও হারায় কাশ্মির।

আইনটি পাস করার আগে থেকে জম্মু ও কাশ্মিরে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল ভারত সরকার। পরে তাদের সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৫-ক ধারা অনুযায়ী কাশ্মিরের বাসিন্দা নয় এমন ভারতীয়দের সম্পদের মালিক হওয়া এবং চাকরি পাওয়ায় বাধা ছিল।

৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মিরের এমন এক স্বায়ত্তশাসন রয়েছে যা ১৯৪৭ সালের পর দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো দেশের রাজ্য পায়নি।

অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মিরকে নিজেদের সংবিধান এবং একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দিয়েছে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্য সব ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দিয়েছে।

সংসদে ক্ষমতাসীন জোট সোমবার ধারা দুটি বাতিলের যে বিল উত্থাপন করে তা পাস হওয়ায় কাশ্মিরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দশা এখন ফিলিস্তিন কিংবা মিয়ানমারের রাখাইনের রোহিঙ্গাদের মতো হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।

এর আগে গত রোববার ওআইসির তরফ থেকে জম্মু-কাশ্মিরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply