ঈদযাত্রা: শেষ মুহূর্তেও অস্বস্তি-ভোগান্তি

|

আগামীকাল ঈদ, তাই এই শেষ দিন স্টেশন ও টার্মিনালগুলোতে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে।

গত কয়েক দিনের মতো আজও শিডিউল বিপর্যয়ে ট্রেন। সকাল থেকে প্রায় সবক’টি ট্রেন ছেড়েছে দেরিতে। চরম ভোগান্তিতে স্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীরা। কেউ কেউ রাত থেকে ট্রেনের অপেক্ষায় স্টেশনে সময় পার করেন।

সকাল থেকে নির্ধারিত সময় কোন ট্রেনই ছাড়তে পারেনি। গতকালের খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস সাড়ে ১২ ঘণ্টা পর সকালে সাড়ে ৭টার দিকে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে। বেনাপোল এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল গত রাত ১২.৪০ মিনিটে, পৌনে সাত ঘণ্টা পর ছেড়েছে সকাল ৬টা ৪০মিনিটে। রাত ১১টার রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস সাড়ে আট ঘণ্টা পর ছাড়ে সকাল ৮টার পর।

সকালের রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ও খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস কখন ছাড়বে তা জানে না কর্তৃপক্ষ।

স্টেশনে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর এখন পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে যাত্রীদের মধ্যে।

তারা বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি ব্যর্থ।

অন্যদিকে সকাল থেকেই রাজধানীর বাস টার্মিনাল গুলোতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। বাস পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। মহাসড়কে যানজট থাকায় সময়মত বাস আসতে পারছে না গাবতলি টার্মিনালে।

হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার অংশে ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। একই অবস্থা সেতুর পূর্বপাড়েও। টাঙ্গাইলের বিভিন্ন পয়েন্টেও আছে যানজট। সেইসঙ্গে আছে গণপরিবহন সংকট।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply