ভোগান্তির আরেক নাম আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস

|

ভোগান্তির আখড়ায় পরিণত হয়েছে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস। আবেদন জমা, সংশোধন, ছবি তোলা-আঙুলের ছাপ নেয়ার প্রতিটি ধাপে সেবাপ্রার্থীদের লম্বা লাইন কখনো ছাড়িয়ে যাচ্ছে আশপাশের গলি-রাস্তা পর্যন্ত। পাসপোর্ট ডেলিভারি নিতে গিয়েও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

পাসপোর্ট অফিসে আসা এক ভুক্তভোগী বলেন, আমরা এখানে পাসপোর্টের জন্য এসেছি, দুর্যোগের পর ত্রাণ নিতে আসিনি। আমরা যথাযথ ফি দিয়ে আবেদন করেছি। অন্তত একটু বসার জায়গা থাকা উচিত।

কি রোদ, কি বৃষ্টি; সেবাপ্রার্থীদের দীর্ঘ লম্বা লাইন ছাড়িয়ে যায় আশপাশের রাস্তা। সকালে এসে দুপুর পেরিয়ে যায়, পাসপোর্ট জমা দিতে আসাদের লাইন যেন এগোয় না। অপেক্ষমাণ সেবাপ্রার্থীদের বসাতো দূরের কথা ঠিকঠাক দাঁড়ানোরও জায়গা নেই আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে। এছাড়া কাজ দ্রুত করে দেয়ার নামে রয়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য।

ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে আগারগাঁও পাসপোর্ট কার্যালয়ের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন যমুনা নিউজকে বলেন, ৫০০ মানুষকে সেবার দেয়ার জনবল ও অবকাঠামো নিয়ে ২৫০০ মানুষকে সেবা দিতে গেলে সেবার মান তো কমবেই। ১০টা অফিসের কাজ আমরা ৩টা অফিস করে যাচ্ছি। বিশেষ করে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে তুলনামূলক চাপ অনেক বেশি।

সংকট সমাধানে বনশ্রী আর বছিলায় নতুন ২ পাসপোর্ট অফিসের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। তাও আটকে আছে সরকারি প্রজ্ঞাপনে। সেবা প্রার্থীদের ভোগান্তি কমাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাড়া বিল্ডিংয়ে হলেও নতুন পাসপোর্ট অফিস চালুর দাবি ভোগান্তির শিকার মানুষদের।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply