নিষেধাজ্ঞার পর সাকিব যা বললেন

|

তিনটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসানকে এক বছরের স্থগিত সাজাসহ দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। অপরাধ স্বীকার করে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট আকসুর তদন্ত দলকে সহযোগিতা করায় তার সাজা মূলত ১ বছরের জন্য কার্যকর হচ্ছে। অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর মাঠে নামতে পারবেন তিনি।

আইসিসিকে সাকিব জানিয়েছেন, আমি খেলাটিকে ভালোবাসি। ফলে এই নিষেধাজ্ঞায় আমি চরম মর্মাহত। তবে প্রস্তাবের (জুয়াড়িদের) বিষয়টি না জানানোর কারণে আমাকে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তা আমি পুরোপুরি মেনে নিচ্ছি। আকসু চায় ক্রিকেটাররা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করুক। সে অর্থে আমি আমার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছি।

সাকিব বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মতো আমিও চাই ক্রিকেট দুর্নীতিমুক্ত একটি খেলা থাকুক। সেজন্য আমি আকসুর শিক্ষামূলক কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য আগ্রহভরে অপেক্ষা করছি যেন তরুণ খেলোয়াড়রা আমার মতো এই ভুল না করে।

আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, সাকিব অত্যন্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। সে আমার শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিল। তার দায়িত্ব সম্পর্কে সে ওয়াকিবহাল। তার অবশ্যই উচিত ছিল এই প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে জানানো। তবে সাকিব আইসিসিকে সচেতনতা কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে চায় যেন তরুণ খেলোয়াড়রা তার ভুল থেকে শিখতে পারে। সাকিবের এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে পেরে আমি খুশি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply