দুর্যোগ দুর্ভোগে নাকাল বিশ্ব

|

দিন যত গড়াচ্ছে, বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। মাত্রাও আগের চেয়ে বেশি তীব্রতর। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও রুদ্র রোষ নিয়ে হাজির হয়েছে বছরজুড়ে। তবুও বিপদ মোকাবেলায় বিশ্বনেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়নি।

কেবল প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা দুর্ঘটনাই নয়, কঙ্গোর কিভুতে ইবোলা আর সামোয়াতে হামের প্রাদুর্ভাবও নতুন আতঙ্ক নিয়ে হাজির হয়েছে। ২০১৯ সালে দুর্যোগ দুর্ভোগে নাকাল ছিল বিশ্ব। দাবানল, সাইক্লোন, টাইফুন, খরা, বন্যার পাশাপাশি মার্চে উত্তর আমেরিকার দেশগুলোকে কাঁপিয়ে দিয়েছে ভয়াবহ তুষারঝড়।

এ ‘বোমা সাইক্লোনে’ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

একই মাসে মোজাম্বিকে আছড়ে পড়া সাইক্লোন আইডাই কেড়ে নেয় হাজারের বেশি মানুষের জীবন। জুনে ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সিনাবাংয়ে বিকট বিস্ফোরণ ও উদগিরণে ছাইয়ের কলাম ৭ হাজার মিটার ছোঁয়। আগস্টে চীনের ঝেজিয়াংয়ে আঘাত হানা টাইফুন লেকিমায় ৩২ জন প্রাণ হারায়।

নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে হয় ১০ লাখ মানুষকে। একই মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু হওয়া ক্যানারি আইল্যান্ডের দাবানল দ্বীপটির বনাঞ্চলের বেশিরভাগ অংশকেই নিঃশেষ করে ফেলে। একই সময়ে ভারতের কেরালা, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ বন্যায় প্রায় দেড়শ’ জনের মৃত্যু হয়।

আগস্টের শেষভাগে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ খ্যাত আমাজন চিরহরিৎ বনে ভয়াবহ দাবানল নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ দাবানলেও এ বছর পুরো একটি শহর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ৯ জনের মৃত্যু হয়। বছরের শেষ দিকে এসেও অস্ট্রেলিয়ায় আরেক দফা দাবানল থাবা বসিয়েছে।

অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা ১১-তে পৌঁছেছে। নববর্ষের উদযাপনে যেখানে মানুষ ব্যস্ত, সেখানে অস্ট্রেলিয়ার মানুষ বাড়ি ছেড়ে উদ্বাস্তু বসবাস করছে।

নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়ার বিস্তৃত অঞ্চল পুড়ছে। ওদিকে সেপ্টেম্বরের শুরুর দিনই ঘণ্টায় ১৮৫ মাইল গতির বাতাস নিয়ে বাহামা দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানে হারিকেন ডোরিয়ান।

দেশটির ইতিহাসে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী এ ঝড় ৫২ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়। তিন সপ্তাহ পরও ঝড়ে নিখোঁজের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৩০০। অক্টোবরের মাঝামাঝি জাপানে আঘাত হানে টাইফুন হাগিবিস।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply