ইরান কতটা শক্তিশালী?

|

মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা কাসেম সোলাইমানি নিহতের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে দেশটি। প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকারও করেছে ইরান। এর জবাবে আজ আবারও ইরাকে হাশদ আল শাবি’র ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে ৬জন নিহত হয়। তবে ইরান এখনো সামরিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। ইরানের সামরিক সক্ষমতা কতটুকু? আসুন জানার চেষ্টা করি।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মতে, প্রায় ৫ লাখ ২৩ হাজার সক্রিয় সদস্য আছে দেশটির সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্তরে। এর মধ্যে ৩ লাখ ৫০ হাজার নিয়মিত আর্মি আর কমপক্ষে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার ইসলামিক রিভলিউশানারি গার্ড কর্পস বা আইআরজিসি। এছাড়া আরও বিশ হাজার আছে আইআরজিসির নৌ বাহিনীতে। এরা হরমুজ প্রণালিতে আর্মড পেট্রল বোট পরিচালনা করে। আইআরজিসি বাসিজ ইউনিটও নিয়ন্ত্রণ করে যারা মূলত স্বেচ্ছাসেবী ফোর্স। মূলত অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ মোকাবেলায় তারা কাজ করে।
এরা দ্রুত হাজার হাজার মানুষকে জমায়েত করতে পারে। আইআরজিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ৪০ বছর আগে যা পরে বড় মিলিটারি, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়। এটাকে ইরানর সবচেয়ে প্রভাবশালী ফোর্স বলে মনে করা হয়।

এদিকে কুদস ফোর্স দেশের বাইরে অভিযানগুলোতে সক্রিয় থাকে। সেটির কমান্ডারই ছিলেন কাসেম সোলাইমানি। এই ফোর্স মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইরান সামরিক খাতে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে যে পরিমাণ আমদানি করেছে তা সৌদির আরবের মোট সামরিক আমদানির ৩ দশমিক ৫ শতাংশ মাত্র। রাশিয়া ও চীন ইরানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে বিবেচিত। অস্ত্র আমদানির অধিকাংশই এ দুই দেশ থেকে করে ইরান।

মধ্যপ্রাচ্যে মাঝারি ও স্বল্প পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্রে ইরান খুবই শক্তিশালী। ইসরায়েল, সৌদি আরব ও উপসাগরীয় এলাকার অনেক টার্গেট ইরানের ক্ষেপনাস্ত্রের আওতায়। আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপনাস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে ইরান। গত কয়েক বছরে ড্রোন সক্ষমতা বাড়িয়েছে দেশটি।

ইরান সাম্প্রতিক সময়ে সাইবার সক্ষমতাও বাড়িয়েছে। আইআরজিসিরি নিজস্ব সাইবার কমান্ড আছে বলে মনে করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply