মে মাসেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়ানোর শঙ্কা

|

মে মাসে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়ানোর শঙ্কা খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। তবে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেই স্বাস্থ্য বিভাগের। প্রয়োজনীয় বেড, আইসিইউ কিংবা ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা হয়নি এখনও। এরইমধ্যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়েছে। যার বেশিরভাগই বাসাবাড়িতে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন দেড় হাজারের কম। তাতেই অভিযোগের অন্ত নেই। রোগীদের অভিযোগ চিকিৎসা সেবা নিয়ে। নিরাপত্তা উপকরণ না থাকার অভিযোগ স্বাস্থ্যকর্মীদের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হবে ১০ থেকে ২০ হাজার রোগীকে । কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে করোনার জন্য নির্ধারিত ঢাকার ১৫টি সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে মোট বেড ৩ হাজার ৯৪৪। আইসিউ আছে মাত্র ১৬৮টি। এরমধ্যে হলি ফ্যামিলি, আনোয়ার খানসহ বেশ কিছু হাসপাতালে এখনো কোভিড চিকিৎসা চালু হয়নি।

ঢাকার বাইরের পরিস্থিতিও একই রকম। মোট বেড সংখ্যা ৫ হাজার ৮০০, আইসিইউ আছে ১৭৩ টি। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন মাঝারি চিকিৎসার জন্য আরো প্রায় সাড়ে চার হাজার বেড মিলবে ঢাকায়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শিগগিরই নতুন প্রায় পাঁচ হাজার বেড যুক্ত হচ্ছে করোনা চিকিৎসায়। বাড়ানো হচ্ছে সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালের সংখ্যা। নতুন সেন্টারের অবকাঠামো পুরোপুরি তৈরী হয়নি এখনো। আর জনবল ঘাটতিতে তা এখনই চালু করা যাচ্ছে না। মন্ত্রী জানিয়েছেন এজন্য নতুন চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে,নিয়োগ ও প্রশিক্ষন শেষে নতুন জনবল মে মাসের মধ্যে পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

তাদের মতে, বিশ্বমহামারির এই সংকট মোকাবিলায় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নয়, আন্তরিকতার সাথে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরী।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply