রমজানে কানাডার ৩ শহরে মিললো আজানের অনুমতি

|

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র রমজান মাসে কানাডার তিন শহরে উচ্চস্বরে মাগরিবের আজান প্রচারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে টরন্টো, অটোয়া এবং মিসিসাওগা সিটি কাউন্সিল পৃথকভাবে এই অনুমোদন দেয়। আগামী ২৩ মে পর্যন্ত এই সুবিধা বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

তবে সংক্ষিপ্ত আকারে আজান প্রচার করার অনুমতি দিলেও মসজিদে সমবেত হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

মিসিসাওগার মেয়র বনি ক্রমবি ফেসবুক পোস্টে আজান প্রচারের অনুমতি দেয়ার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, মিসিসাওগার মসজিদ এবং যে কোনো ভবনে সূর্যাস্তের সময় সংক্ষিপ্তভাবে উচ্চস্বরে আযান প্রচার করা যাবে।

অন্য দুটি শহরে কেবল মসজিদে আজানের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে কানাডার অন্টারিও প্রদেশে বাংলাদেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের ফিউনারেল প্রক্রিয়া বা দাফন কার্য সহজ করতে ‘বাংলাদেশ মুসলিম ফিউনারেল সার্ভিসেস’ নামে একটি অলাভজনক সেবামূলক সংগঠন অন্টারিওতে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের ঘোষণা দিয়ে সংগঠনটির পরিচালক মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন মো. হানিফ বলেন, অন্টারিওতে বাংলাদেশি কানাডিয়ান মুসলিমদের পরামর্শ ও চাহিদার ভিত্তিতে ‘বাংলাদেশ মুসলিম ফিউনারেল সার্ভিসেস’ তার সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হবে।

এটি একটি কানাডিয়ান ফেডারেলি ইনকর্পোরেটেড সংগঠন। সংগঠনটির কোনো সদস্য মারা গেলে তার দাফনের খরচসহ অন্যান্য সব বিষয়গুলো দেখবে। এছাড়া মসজিদের সঙ্গে সমন্বয় করে মৃতের পরিবারের জন্যে কাজটি বিধিসম্মত ও সহজভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েই এই সংগঠনের জন্ম হয়েছে।

সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি সদস্যই স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে কমিউনিটির জন্যে এই অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্রদান করবেন। কানাডায় ফিউনারেল খরচ বেশ ব্যয়বহুল এবং দিন দিন তা বাড়ছে।

বাংলাদেশ মুসলিম ফিউনারেল সার্ভিসের সদস্য হয়ে যে কেউ তার বা তার পরিবারের প্রয়োজনের সময় এই সংগঠনটি থেকে আর্থিক এবং অন্যান্য লজিস্টিক সহযোগিতা পেয়ে থাকবেন।

‘বাংলাদেশ মুসলিম ফিউনারেল সার্ভিসেস’ ধীরে ধীরে সব প্রদেশগুলোতে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার আশা ব্যক্ত করেছে।

সংগঠনটির সেবা পেতে তাদের ওয়েবসাইটে (www.bmfs.ca) গিয়ে সদস্য ফর্ম পূরণ করে আগ্রহীরা সদস্য হতে পারেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply