করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ২০০ কোটি ডোজ তৈরির ঘোষণা

|

করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ২০০ কোটি ডোজ উৎপাদনের সক্ষমতার কথা জানিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। সেই সাথে নতুন ২টি চুক্তির পর সক্ষমতা আরও দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলেও জানায় ব্রিটিশ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার নির্বাহী কর্মকর্তা পাস্কাল সরিওট বলেন, ওষুধের পরীক্ষা চলছে। তবে এখনই ডোজ তৈরি করা শুরু করতে হবে। যাতে ভ্যাকসিন কার্যকর প্রমাণিত হলে এটি চাহিদা মেটাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এতে একটি ঝুঁকি তৈরি হয়। তবে এটি একটি আর্থিক ঝুঁকি এবং সেই আর্থিক ঝুঁকি হলো ভ্যাকসিনটি অকার্যকর হওয়া। এর ফলে তৈরি সমস্ত উপকরণ ও ভ্যাকসিনগুলো নষ্ট হয়ে যাবে।

সরিওট বলেন, মহামারি চলাকালীন সময়ে অস্ট্রাজেনেকা কোনও ব্যবসায়িক লাভের চেষ্টা করবে না। ভ্যাকসিনটি কার্যকর হলে আমরা দুইটি চুক্তির আওতায় দুই বিলিয়ন ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবো। যার একটি চুক্তি হয়েছে বিল গেটসের সাথে। সেই সাথে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সাথে নিয়ে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের অর্ধেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে সরবরাহ করার চিন্তাও করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিল গেটস ফাউন্ডেশনের দুটি দাতব্য সংস্থা কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপিআই) এবং জিএভিআই ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স এই ভ্যাকসিনের ৩০ কোটি ডোজ উৎপাদন ও বিতরণ করবে। যা বছরের শেষ দিকে সরবরাহ করা হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।

পাস্কাল সরিওট বলেন, ‘এজেডডি১২২’ ভ্যাকসিনটি কার্যকর কি-না, আগস্টের মধ্যেই জেনে যাবেন। অন্যদিকে সিইপিআইয়ের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড হ্যাচেট বলেছেন, এখনো ভ্যাকসিনটি কার্যকর না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘ভ্যাকসিনকে অবশ্যই বিশ্বব্যাপী জনস্বার্থ হিসাবে দেখা উচিত । একটি জনগণের ভ্যাকসিনের জন্য বিশ্বনেতাদের আহ্বান ক্রমেই বাড়ছে।’


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply