লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ; ২০ ভারতীয় সেনা নিহত: বিবিসি

|

করোনার সংকটের মধ্যেই লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীনের ভেতর কয়েকদিন ধরে চলা উত্তেজনা রক্তক্ষয়ী সংঘাতে রূপ নিয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই’র দাবি, হামলায় ভারতের অন্তত ২০ সেনা নিহত এবং চীনের কমপক্ষে ৪০ জন হতাহত হয়েছেন।

তবে সংঘর্ষ এবং হতাহতের বিষয়ে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দেয়া হলেও, এ বিষয়ে দিল্লি বা বেইজিংয়ের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য উল্লেখ করেনি এএনআই। অবশ্য, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছে বিবিসি। এরআগে, সোমবার রাতের সংঘর্ষে এক কর্নেলসহ ভারতীয় তিন সেনার মৃত্যু হয়।

এবারের সংঘাতে চীনের সেনাদেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভারতীয় সেনা সূত্রের বরাতে জানিয়েছে সেখানকার মিডিয়া। এএনআই বলছে, অন্তত ৪৩ চীনা সেনা হতাহত হয়েছে।

ভারতীয় সেনা কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে জানায়, গলওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালীন এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ৪৫ বছর পরে ফের সেনার হামলায় মৃত্যু হলো কোনো ভারতীয় সেনার। সর্বশেষ ১৯৭৫ সালে এমন ঘটনা ঘটেছিল।

এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরানোর জন্য সেনা এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত-চীন। 

বিবৃতিতে বলা হয়, দু’দেশের মধ্যে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে যে সমঝোতা হয়েছে তা যদি চীন মেনে চলত তা হলে সোমবার রাতে গালওয়ান উপত্যকায় যে রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটেছে তা এড়ানো সম্ভব হত। ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার মধ্যেই তাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রেখেছে। আশা করছি চীনও তাদের দিক থেকে এই নিয়ম মেনে চলবে। 

অন্যদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এক বিবৃতিতে বলেন, দু’বার অনুপ্রবেশ করে চীনা সীমান্তরক্ষীদের ওপর উস্কানিমূলক হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনারা; যার ফলে এ সহিংসতা। ভারত সরকারকে বলছি, নিজ সেনাদের নিয়ন্ত্রণ করুন, সীমান্ত পার হওয়ার, উস্কানি দেয়ার বা একতরফা সিদ্ধান্তের চেষ্টা করবেন না। নইলে সীমান্ত পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply