পাল্টাপাল্টি দাবিতে রাজপথে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা

|

পাল্টাপাল্টি দাবিতে রাজপথে নেমেছেন ফল ঝুলে থাকা ৫ রাজ্যের রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা। এতে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। এই অবস্থায় নির্বাচনী কর্তৃপক্ষসহ সুধীমহল সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলছেন, সময় লাগলেও নির্ভুলভাবে সব বৈধ ব্যালট গণনার কোনো বিকল্প নেই।

ভোট জালিয়াতির অভিযোগে রাজপথে রিপাবলিকান সমর্থকরা। কোথাও কোথাও নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। ভোট গণনা বাকি থাকা ৫ রাজ্য হলো পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, নেভাদা, এবং নর্থ ক্যারোলাইনায়। এরমধ্যে যোগুলোতে ট্রাম্প এগিয়ে সেখানে মেইলইন ভোট গণনা বন্ধ আর যেগুলোতে পিছিয়ে আছে সেগুলোতে সব ব্যালট গোনার দ্বিমুখী দাবি করছে রিপাবলিকান শিবির।

রিপাবলিকান দলের এক সমর্থক বলেন, ‘আমাদের ভোট চুরি করা হচ্ছে। এটা আমরা কখনোই হতে দেবো না। কারণ এটা আমাদের অধিকার।’

রিপাবলিকান দলের আরেক সমর্থক বলেন, ‘গণতন্ত্রকে রক্ষায় আমরা মাঠে নেমেছি। কোনো সহিংসতা নয়, আমাদের দাবী অবাধি ও সুষ্ঠু নির্বাচন।’

একইসাথে মাঠে আছেন ডেমোক্র্যাট সমর্থকরাও। তাদের অভিযোগ, নির্বাচনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ব্যহত করতে চাপ দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই অবস্থায় ভোট গোনার দায়িত্বে থাকা রাজ্য প্রধানরা খানিকটা অস্বস্তিতে। তাদের দাবি সবই হচ্ছে আইন মেনে। স্বচ্ছতার সাথে। এনিয়ে রাজনীতি হলে তা ক্ষতিগ্রস্ত করবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেই।

পেনসিলভানিয়ার রাজ্য প্রধান ক্যাথি বুকভার বলেন, ‘আমাদের ভোট গণনা প্রায় শেষ। সামান্য যেটুকু বাকি আছে, সেগুলো মেইল ইন ভোট। সেটাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারবো আমরা।’

জর্জিয়ার রাজ্য প্রধান গ্যাব্রিয়েল স্টার্লিং বলেন, ‘প্রতিটি ব্যালট যাচাই বাছাই করে আমরা সেগুলো গণনা করছি। গত ২০ বছরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া প্রথামবারের মতো ব্যবহার করছি আমরা। তাই কিছুটা সময় লাগছে। এটা নিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার সুযোগ নেই।’

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট কে হবেন- তা নির্ভর করছে আটকে থাকা ৫ রাজ্যের ফলাফলে। অ্যারিজোনা, জর্জিয়া ও নেভাদায় বাইডেন এগিয়ে। অন্যদিকে নর্থ ক্যারোলাইনায় এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। প্যানসেলভিনিয়ায় পাশার দানের মতো দুলছে দুজনের ভাগ্য।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply