সারা ভারতে লকডাউন দেয়ার অভিমত সেদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের

|

ভারতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশটির করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যু ঠেকাতে হলে পুরো দেশজুড়ে লকডাউন দেয়ার বিকল্প নেই।

চিকিৎসকরা বলছেন, হাসপাতালে বেড এবং অক্সিজেন সংকটের মধ্যে সব রোগীকে চিকিৎসা দেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই লকডাউনের মাধ্যমে সংক্রমণ কমানোর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান তাদের।

করোনার কারণে ইতিহাসের ভয়াবহতম স্বাস্থ্য সংকটে ভারত। প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। বাড়ছে আক্রান্ত শনাক্ত। এ অবস্থায় চিকিৎসকরা বলছেন, পূর্ণাঙ্গ লকডাউন ছাড়া সংক্রমণ কমানো সম্ভব নয়।

দিল্লির গঙ্গারাম হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. ডি এস রানা বলেন, লকডাউনের মুল লক্ষ্য হলো মানুষের স্থানান্তর বন্ধ করে দেয়া। যেহেতু ভাইরাসের নির্দিষ্ট মেয়াদকাল রয়েছে তাই এটা কমপক্ষে ১৪ দিন হওয়া বাঞ্ছনীয়। পুরো ভারতজুড়ে পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের কোনো বিকল্প নেই। এটা নিশ্চিত করা গেলেই করোনার বিস্তার একেবারেই কমে আসবে। এর পাশাপাশি ভ্যাকসিন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। তাইলেই এই হাহাকার কমানো সম্ভব।

এদিকে ভারতের চিকিৎসকরা বলছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি না করা গেলে চলমান সংকট সামাল দেয়া সম্ভব নয়। বাড়তে পারে সংক্রমণ এবং মৃত্যু।

দিল্লির হলি ফ্যামিলি হসপিটালের সিসিএম প্রধান ডা. সুমিত রায় বলেন, ভারতের চিকিৎসক এবং হাসপাতালগুলো আসলে তাদের সাধ্যের সর্বোচ্চটা করে ফেলেছে। এরচেয়ে বেশি কিছু করার ক্ষমতা নেই। এখন প্রয়োজন আইসিউ’র সক্ষমতা সম্পন্ন নতুন নতুন হাসপাতাল তৈরি করা। অন্যথায় করোনার রোগীদের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব না।

সেই সাথে বর্তমান হাসপাতালগুলোর সক্ষমতাও বাড়াতে হবে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ-এমনটাই পরামর্শ চিকিৎসকদের।

ডা. সুমিত রায় আরও বলেন, একজন রোগীকে কমপক্ষে ৭ দিন চিকিৎসা দিতে হয়। তাই বেড কম থাকায় চিকিৎসাবঞ্চিত হচ্ছে অন্য রোগীরা। ফলে তাদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। সেজন্য নতুন হাসপাতাল তৈরির পাশাপাশি চালু থাকা হাসপাতালগুলোর সক্ষমতাও বাড়াতে হবে।

এদিকে ভারতে দেখা দিয়েছে ভ্যাকসিন সংকটও। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত টিকার ব্যবস্থা না হলে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে ভ্যাকসিন কর্মসূচি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply