অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের শেখ জাররাহ, ইসরায়েলি বাহিনীর তল্লাশি-ধরপাকড়

|

অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনে যেন এক উন্মুক্ত কারাগার শেখ জাররাহ। ছোট্ট এই এলাকায় বসবাস মাত্র ২৮ টি ফিলিস্তিনি পরিবারের। অথচ তাদের উৎখাত করে অবৈধ বসতি গড়তে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে পুরো এলাকা। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এলাকায় ঢুকতে বা বের হতে পারবে না কোনো ফিলিস্তিনি। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, স্কুল এমনকি হাসপাতালেও যেতে পারছেন না শেখ জাররাহ’র বাসিন্দারা।

ফিলিস্তিনের শেখ জাররাহ’র বাসিন্দা সালেহ আবু দিয়াব বলেন, যখনই এই এলাকা থেকে বের হতে হয় তখনই আইডি কার্ড দেখাতে হয়। কখনো কখনো অনুমতিপত্রও নিতে হয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। অথচ এই এলাকায় আমরা তিন পুরুষ ধরে বসবাস করে আসছি।

পূর্ব জেরুজালেমের কাছে ছোট্ট এলাকা শেখ জাররাহ যেখানে বসবাস মাত্র ২৮টি ফিলিস্তিনি পরিবারের। তবে পুরো এলাকাটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে এখানে ইহুদি বসতি স্থাপন করাই ইসরায়েলি বাহিনীর লক্ষ্য। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারে না এই এলাকা থেকে।

শেখ জাররাহ’র আরেক বাসিন্দা আয়া আবু দিয়াব বলেন, আত্মীয়-স্বজন কেউ আসলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হয়। আসার সময় কয়েক দফা ইসরায়েলি বাহিনী তল্লাশি চালায়। আবার এলাকায় ঢোকার ত্রিশ মিনিটের মধ্যে ফিরে যেতে হয়। এই হলো আমাদের অবস্থা।

কেউ অসুস্থ হলে সহজে পৌঁছাতে পারেন না হাসপাতালে। শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়াও বন্ধ। সব মিলিয়ে শেখ জাররাহ পরিণত হয়েছে এক উন্মুক্ত কারাগারে।

শেখ জাররারই বাসিন্দা আহমাদ আবু দিয়াব বলেন, যখনই স্কুলে যাই তখনই চেকপোস্টে তল্লাশি করে। বেশিরভাগ সময়ই বের হতে দেয় না এলাকা থেকে। তাই আর স্কুলেও যাই না।

এ ছাড়াও প্রতিনিয়ত চলছে ধরপাকড়। রাত হলেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে আটক করা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply