হিজাব পরায় মুসলিম প্রার্থীর প্রতি ম্যাকরনের দলের সমর্থন বাতিল

|

নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টারে হিজাব পরা নিয়ে ফ্রান্সের আঞ্চলিক নির্বাচনে আলোচনায় এসেছেন মুসলিম প্রার্থী সারা জেম্মাহি। ফ্রান্সের ডানপন্থী দলগুলো অভিযোগ করছে, সারা জেম্মাহি পোশাকে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন। এই অভিযোগে সারার প্রতি সমর্থন বাতিল করেছে প্রেসিডেন্ট ম্যাকরনের দল লারেম পার্টি।

দৈনিক শাবাহ বলছে, পোশাক নিয়ে এমন অভিযোগে একদমই টলেননি সারা। হিজাব পরাকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় রঙ লাগানোর অভিযোগ আমলে না নিয়ে লারেম পার্টি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন তিনি। দেখছেন জয়ের স্বপ্নও। মাত্র ২৬ বছর বয়েসে রাজনীতিতে আসা ল্যাব টেকনিশিয়ান সারা বলছেন, শুধু হিজাবের কারণে তাকে পরাজিত করতে পারবে না প্রতিদ্বন্দ্বীরা। থাকতে হবে যুক্তিসঙ্গত কারণ।

মন্টিপিলিয়েরের এই প্রার্থী গণমাধ্যমকে বলেছেন, ক্ষমতাসীন পার্টি লারেম সমর্থন প্রত্যাহার করলেও, আমার জয়ের পথে সেটি বাধা নয়। যুগযুগ ধরে চলমান শাসন এবং চিন্তাভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করতেই স্বতন্ত্রভাবে লড়ছি। প্রত্যেক শিশুকে স্কুলে পাঠানো আমার মূল অঙ্গীকার। এছাড়া, বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে কাজ করব। ফ্রান্সে সবার সমান সুযোগ থাকা উচিৎ।

সারার প্রতি সমর্থন বাতিল প্রসঙ্গে লারেম পার্টির মুখপাত্র রোল্যান্ড লেসকিওর বলেন, নির্বাচনী পোস্টারে কোনো ধর্মীয় পোশাক বা প্রতীক ব্যবহৃত হলে অবশ্যই সেটি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করবে। সেটি ইহুদিদের টুপি, খ্রিস্টানদের ক্রুস বা মুসলিমদের হিজাব যেটাই হোক না কেন। আপনি রাজনীতির মোড়কে ধর্মীয় মতাদর্শ প্রচার করছেন। আকৃষ্ট করতে চাইছেন বিশেষ গোষ্ঠীকে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না প্রজাতন্ত্রে সবাই সমান।

অবশ্য ফ্রান্সের অনেক ভোটার বলছেন তারা চান ভেদাভেদ ভুলে জয় হোক গণতন্ত্রের। কারণ, দেশটির সংবিধান বা আইনে নির্বাচনী প্রচারণায় হিজাব বা অন্য ধর্মীয় চিহ্ন বহন নিষিদ্ধ নয়।

ছয় বছর পরপর হওয়া আঞ্চলিক এই নির্বাচনে ১৮ শ কাউন্সিলরকে বাছাই করবেন ভোটাররা। যারা অবকাঠামো,স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বাজেট নির্ধারণে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি ঠিক করবে আঞ্চলিক ভোটের এই ফলাফল। 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply