ভারতে কৃষক বিদ্রোহের নতুন মোড়, ফের অবরোধ

|

ছবি: সংগৃহীত।

ভারতে প্রায় আলোচনার বাইরে চলে গিয়েছিল কৃষক আন্দোলন। তবে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আবারও আলোচনায় কৃষক আন্দোলন। দেশজুড়ে ‘ভারত বন্ধ’ নামে অবরোধ ডেকেছে কৃষক সংগঠনগুলো। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব ও কেরালায়।

সোমবার সকালে দিল্লি-মারাঠা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন কৃষি আইন নিয়ে প্রতিবাদী কৃষকরা। সেখানে কিছুটা ব্যাহত হয় যান চলাচল। তবে দিল্লি সীমান্তে গুরুগ্রাম ও নয়ডায় বিপুল যানজটের পরিস্থিতি তৈরি হয় পুলিশের কড়া নজরদারির ফলে। রাজধানীতে ঢোকার আগে রীতিমতো তল্লাশি করে গাড়ি ছাড়া হচ্ছিল দিল্লির সীমান্তে। সেই কারণেই যানজট শুরু হয়। প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে গাড়ির লাইন পড়ে যায়। বন্ধের সমর্থকদের আটকাতে গিয়ে দিল্লির সীমান্ত যানজটে আটকে ফেলে পুলিশই।

এ দিকে, পঞ্জাবে সরাসরি কৃষকদের সমর্থনে পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। বেশ কয়েকটি স্থানে রাস্তা বন্ধ করে প্রতিবাদ করেছেন কৃষকরা। এই অবরোধ কর্মসূচিকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতারাও। মুম্বাইয়ের রাস্তাতেও অবরোধকে সফল করে একযোগে বাম ও কংগ্রেস সমর্থকরা নেমেছেন। সেখানে কৃষক সংগঠনের সদস্য সমর্থকরাও প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন।

তবে পুলিশ ও জনতা খণ্ডযুদ্ধে উত্তাল হয়েছে চেন্নাই। তামিলনাড়ুর বাম সংগঠনের নেতৃত্ব ও সমর্থকরা চেন্নাইয়ের আন্না সলাই এলাকায় পুলিশে ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় সোমবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ অবরোধ সমর্থকদের আটক করে। ওড়িশায়ও অবরোধের প্রভাব স্পষ্ট।

ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত টুইট করে সাধারণ মানুষের অসুবিধার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন সোমবার সকালেই। তিনি লিখেছেন, ‘দেশ জুড়ে এ অবরোধে মানুষের সমর্থন পাওয়া গিয়েছে। সাধারণ মানুষ যে সমস্যায় পড়েছেন, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু মনে রাখবেন কৃষকরা গত ১০ মাস ধরে সমস্যায় আছে।

উল্লেখ্য, ভারতের এই কৃষক আন্দোলনের সূত্রপাত হয় গত বছরের সেপ্টেম্বরে। ওই সময় নরেন্দ্র মোদির বিজপি সরকার কর্তৃক তিনটি কৃষি আইন জারি হয়। এতে অসম্মতি প্রকাশ করে তা বাতিল করতে বললে বেঁকে বসে সরকারও। এরপরই শুরু হয় ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কৃষক বিদ্রোহ। ভারতের উত্তরাঞ্চলের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা প্রদেশের হাজার হাজার কৃষক জড়ো হন দিল্লিতে।

সেখানে মোটামুটি লম্বা সময় থেকে আন্দোলন চালিয়ে যান তারা। এ ঘটনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও শিরোনামে উঠে আসে। তবে এরপর বেশ কিছুদিন আলোচনার বাইরে থাকলেও সোমবার ফের দেশ জুড়ে অবরোধ ডেকেছেন দেশটির কৃষকরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply