ঢাবি শিক্ষার্থী অপু’র শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি

|

ঢাবি শিক্ষার্থী অপু’র শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর চাঁনখারপুলের বাসা থেকে উদ্ধার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীর মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার সকালে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে এ তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেলে কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, আরও তদন্তের জন্য মাহাদীর কণ্ঠনালীর টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দুপুর ১২টার দিকে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে। মাহাদীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।

মাসুদ আল মাহাদী (অপু) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ ও মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। একাডেমিক ফলাফলে তিনি ভালো করতেন। তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনেও নেতৃত্ব দিয়েছেন।

অপুর মৃত্যু নিয়ে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, মাসুদ আল মাহাদী (অপু) মেধাবী ছাত্র ছিল, সত্যিকারের মেধাবী। ফলাফল ভালোও করতো। তবে গতানুগতিক ভালো ফলাফল করাদের মতো সে ক্লাসে খুব নিয়মিত ছিল না। সে প্রশ্ন করতো, প্রতিবাদ করতো। ষাটের দশক কিংবা নিদেনপক্ষে ৮০র দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেসব শিক্ষার্থী নিয়ে গর্ব করতো, যাদের কারণে ছাত্র আন্দোলন বিষয়টা একটা স্বর্ণালী এক রোমান্টিসিজম এখন, অপু ছিল সে ধরনের শিক্ষার্থী।

তিনি আরও লিখেছেন, সে নিশ্চয় শিক্ষক হতে চাইতো। কিন্তু সে বা আমি বা অনেকেই জানতো, তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হবে না। এ সময়ে এ ধরনের কাউকে বিশ্ববিদ্যালয় নেওয়া হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় চায় অনুগত গাধাদের।সাংবাদিকতার যে অবস্থা, সেখানেও নিশ্চয় সে হতাশ হয়েছে। নিরাপদ চাকরির জন্য সে বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তা অপুর স্বভাববিরোধী। তার স্বভাব ধারণ করার একমাত্র জায়গা হতে পারতো বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সেখানে ঢোকার সুযোগ তার নেই। অপু আত্মহত্যা করেছে শুনছি। সিস্টেম কীভাবে প্রখর এক তরুণকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে, তার একটিমাত্র উদাহরণ দিলাম।

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার বেলা দুইটার পর রাজধানীর চাঁনখারপুলের একটি মেস থেকে মাহাদীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এনএনআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply