‘বিশ্বকাপের ডার্ক হর্স হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ’

|

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ডার্ক হর্স হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, মত প্রকাশ উইজডেন ইন্ডিয়ার। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ডার্ক হর্স হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এমনটাই মনে করছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট উইজডেন ইন্ডিয়া। সাম্প্রতিক ফর্ম, মোস্তাফিজের ফিরে আসা, মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কত্বসহ বেশ কিছু বিষয় বাংলাদেশের ভাল করার টনিক হতে পারে বলে মনে করছে ওয়েবসাইটটি।

আক্ষরিক অর্থে ডার্ক হর্স শব্দটিকে অনুবাদ করলে অর্থ দাঁড়ায় কালো বা অন্ধকার ঘোড়া। যার মূল অর্থ, এমন কোনো প্রতিযোগী যার ব্যাপারে লোকের খুব একটা উচ্চাশা থাকে না, কিন্তু দিনশেষে সবাইকে চমকে দিয়ে সে-ই সফল হয়।

উইজডেন ইন্ডিয়া তাদের দাবির পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে। তার মধ্যে প্রথমে আসবে সাম্প্রতিক ফর্ম। কন্ডিশন যাই হোক না কেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জয়ের ধারায় থাকা মানে মানসিকভাবে এক ধাপ এগিয়ে থাকা। উইজডেন বলছে, বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে হারানো বাংলাদেশ এক দারুণ মোমেন্টামে আছে, যেটা তারা নিয়ে যাচ্ছে বিশ্বকাপে।

এরপরের কারণ হিসেবে আসছে, স্পিনিং অলরাউন্ডার থাকায় দলে ভারসাম্যের বিষয়টি। বাংলাদেশ দলে বেশ কয়েকজন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার থাকায় দলটিতে বেশ ভারসাম্য আছে। উদাহরণ হিসেবে উইজডেন বলছে, গত ১ বছরে সাকিব এবং শেখ মাহেদী অন্তত ১৪ টি উইকেট এবং ১০০’র বেশি রান করেছে যা মাঝের ওভারগুলোতে বাংলাদেশকে খেলার নিয়ন্ত্রণ দিয়েছে। এ ছাড়াও গত বছর ৬.২২ ইকোনমি রেটে ১৮ উইকেট নেয়া নাসুম আহমেদের উপর বিশ্বকাপে থাকবে বাড়তি নজর।

এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সব থেকে বড় ভরসা, দ্য ফিজ ইজ ব্যাক। গত ১ বছরে বাংলাদেশের জার্সিতে ডেথ ওভারে মোস্তাফিজ ৭.৫২ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজ মিলিয়ে ফিজের উইকেট সংখ্যা ১৫। আর দুবাই-আবুধাবি বা শারজাহর স্কিডি কন্ডিশনে মোস্তাফিজ কেমন কার্যকর, তা তো আইপিএল এ প্রমাণ হচ্ছেই ।

বাংলাদেশের শক্তিমত্তার আরেকটি দিক হচ্ছে, মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কত্ব। দলের ব্যাটিং ধসে ক্রাইসিসম্যান হিসেবে অবতীর্ণ হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এছাড়াও তার অধিনায়কত্ব সাম্প্রতিক সময়ে পেয়েছে বাড়তি মাত্রা। চাপে ভেঙে না পড়া এবং তরুণদের তাদের মতো করে পারফর্ম করতে সুযোগ করে দেয়ার জন্য উইজডেন প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ককে। নিউজিল্যান্ডের সাথে নাসুম যেদিন ১৯ রানে ৪ উইকেট পেলেন সেদিন পরপর দুটি শর্ট বল করার পর সাকিব এসে নাসুমকে ফুল লেন্থে বল করার পরামর্শ দিচ্ছিলেন। ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ সাকিবকে বলেছিলেন, নাসুমকে তার মতো বল করতে দিতে। তরুণদের প্রমোট করার পাশাপাশি ম্যাচ সিচুয়েশনে বিচক্ষণতার সাথে বোলার পরিবর্তনের বিষয়টিও নজরে এসেছে উইজডেনের।

কাগজে-কলমে দলের শক্তিমত্তা বা গভীরতা যাই থাকুক না কেন, বড় আসরে যারা চাপ সামলে পারফর্ম করতে পারে বিজয়ের পতাকা তারাই ওড়ায়। সেক্ষেত্রে, পারবে তো বাংলাদেশ এই বিশ্বকাপের ডার্ক হর্স হতে?

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply