মাঝি ছাড়াই চলছে নৌকা, পৌঁছে দিচ্ছে গন্তব্যে

|

ছবি: সংগৃহীত

নেই কোনো চালক কিংবা নিয়ন্ত্রক। অথচ ঠিকই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে নৌকা। এমনকি নির্দিষ্ট ঘাটেও ভিড়ছে স্বয়ংক্রিয় ভাবে। অটোকার বা স্বয়ংক্রিয় গাড়ি বিশ্বের অনেক দেশে থাকলেও স্বয়ংক্রিয় নৌকার এমন ব্যবহার দেখা গেলো প্রথমবারের মতো নেদারল্যান্ডসে।

স্বয়ংক্রিয় গাড়ির আদলে তৈরি করা হয়েছে স্বয়ংক্রিয় নৌকা। কোনো ধরণের চালক ছাড়াই সফটওয়্যারের মাধ্যমে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছে এসব রোবট নৌকা। অ্যামস্টারডাম শহরের যানজট কমাতে নেদারল্যান্ডসের এক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এই নৌকা তৈরি। শুধু যাত্রী পরিবহনই নয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাতেও ব্যবহৃত হচ্ছে এমন নৌকা।

ভিন্ন ধরণের এই উদ্ভাবনটি এসেছে দেশটির টেক প্রতিষ্ঠান এআইএএমস-এর হাত ধরে। জলপথ ব্যবহারের মাধ্যমে সড়কে গাড়ির চাপ কমাতেই এমন উদ্যোগ বলে জানানো হয়।

এআইএএমসের পরিচালক স্টিফেন ভ্যান জানান, শহরের মধ্যেকার পরিবহনের চাপ কমাতে অনেকদিন ধরেই চিন্তা করছিলাম আমরা।পুরো অ্যামস্টারডাম শহরকে ঘিরে রয়েছে অনেকগুলো খাল। পর্যটকদের ছবি তোলা ছাড়া এই খালগুলোর আসলে তেমন কোনো ব্যবহার ছিল না।তাই আমরা চিন্তা করলাম এই খালগুলোকে জলপথ হিসেবে ব্যবহার করার।

এর ব্যবহার খুবই সহজ, এমনটিই বলছেন উদ্যোক্তারা। শুধু গন্তব্যের নাম লিখলেই পৌঁছে যাবে নৌকা। এমনকি অন্যকোনো জলযানের সাথে সংঘর্ষের শঙ্কাও নেই।

স্টিফেন ভ্যান আরও জানান, বোটগুলোয় ওঠার পর আপনার গন্তব্য লিখলেই হবে। কোন রুট ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপনি পৌছাতে পারবেন সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই হিসাব করতে পারবে এই বোটের সাথে থাকা সফটওয়ার। যাত্রাপথে এর সামনে কোনো জলযান আসলে সেটা কাটিয়ে পার হয়ে যাওয়ার সিস্টেমও আছে এই সফটওয়ারে। ফলে অন্যকোনো জাহাজের সাথে সংঘর্ষ হওয়ার শঙ্কা নেই।

শুধু মানুষই নয়, শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাতেও বড় ভূমিকা রাখছে এসব স্বয়ংক্রিয় নৌকা। যা প্রতিদিন শহরের ১৪০টি পয়েন্ট থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করছে।

স্টিফেন ভ্যান জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এই শহরের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই বর্জ্যগুলো বহন করার জন্য রয়েছে বিশেষ বোট। স্বয়ংক্রিয়ভাবে এগুলো প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় হাজির হয় ডাস্টবিনের কাছে। এরপর রোবট ডাস্টবিন সেগুলো স্থানান্তর করে বোটে। এখানে কোনো মানুষেরই প্রয়োজন নেই।

এআইএএমস-এর লক্ষ্য আরও বড় পরিসরে এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় জলযান তৈরি করা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply