টিকে থাকার লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি টাইগাররা

|

ছবি: সংগৃহীত

আজ শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। হারলে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন শেষ জিতলে টিকে থাকবে লড়াইয়ে। সমীকরণটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেলায়ও একই। ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের আশা কোনোরকমে বাঁচিয়ে রাখতে মরিয়া গ্রুপ এ’র পাঁচে থাকা বাংলাদেশ এবং ছয়ে থাকা উইন্ডিজ।

ম্যাচটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল চারটায়)।

দুই দলের সমস্যার জায়গাও অনেকটা একই, ব্যাটিং। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৫ রানে অল আউট হওয়া দলের ব্যাটিং লাইন আপে গেইল, পুরান, হেটমায়ার, পোলার্ড, রাসেল এবং ডোয়াইন ব্রাভো থাকলেও এই নামগুলোর পারফরমেন্সে টের পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মারকুটে ব্যাটারদের অস্তিত্ব। লেন্ডল সিমন্সের মতো ওপেনারের ৩৫ বলে ১৬ রানের সংগ্রামী ইনিংসে বরং মিডল অর্ডারে অন্যান্য ব্যাটারদের জন্য দলকে টেনে তোলার সময় হয়ে পড়ে বাড়ন্ত। কমপক্ষে ৩০ বল খেলা ইনিংসগুলোর মধ্যে সিমন্সের এই শম্বুক গতির ব্যাটিংই ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে মন্থরতম ইনিংস। অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড অবশ্য সিমন্সের একার দায় দেখছেন না। বলেছেন, দলকে পয়েন্ট টেবিলের উপরে তোলার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে একটি ইউনিট হিসেবে।

বাংলাদেশের অবস্থা অবশ্য এরচেয়েও বেগতিক। প্রতিটি ইউনিটেই বারুদ ও অগ্নিনির্বাপকের অভাব দেখা যাচ্ছে যেখানে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটাই দাবি করে সময় বিশেষে আগুন ঝরানো বা আগুন নিভানোর সক্ষমতা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশাল সংগ্রহের পরও বাজে ফিল্ডিং এবং বোলিংয়ে টাইগাররা পায়ে ঠেলেছে ১৭১ রানের ‘লক্ষ্মী’। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বোলিং এবং ব্যাটিং দুই ইউনিটেই পাত্তা পায়নি মাহমুদউল্লাহর দল। এই পারফরমেন্স থেকে দলের উত্তোরণ না ঘটলে যে পরাজয় ভিন্ন আর কোনো ফলাফলই জুটবে না কপালে, সে জানা আছে বিশেষজ্ঞ থেকে ক্রিকেটে অজ্ঞ সবারই।

ঘরোয়া লিগ এবং দেশের মাটিয়ে জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আশাব্যঞ্জক পারফরমেন্সের পর নুরুল হাসান সোহান বিশ্বকাপে এখনও ব্যাট হাতে পাননি বলার মতো কোনো সাফল্য। মোহাম্মদ নাঈম ও মুশফিকুর রহিমদের মতো ব্যাট হাতে কিছুটা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে যদি পারেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার, তবে দলেরই কল্যাণ।

অন্যদিকে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তনের কথা ভাবতে পারে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সৌম্য সরকারের ফর্মহীনতাই দলের একমাত্র সমস্যা নয়, বরং অনেক সমস্যার একটি। অবশ্য শামীম পাটোয়ারীকে এখন একাদশে অন্তর্ভুক্তি সৌম্যের হতাশা বাড়াতে পারে আরও। এমন পরিস্থিতিতে দলের থিং ট্যাঙ্কেরই কথা ছিল পরিস্থিতি সামাল দেয়া। তবে সেটা যে একদমই হচ্ছে না তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হচ্ছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নখদন্তহীন পারফরমেন্সের পর দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের বদলে প্রেস কনফারেন্সে নাসুম আহমেদের মতো তরুণ খেলোয়াড়কে পাঠানো। আর সেখানে নাসুমও বলে দিয়েছেন ভেতরকার কথা যে, তারা চেষ্টা করছেন কিন্তু পারছেন না।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply