স্বর্ণের গহনা কিনে ঠকছেন না তো? জেনে নিন টিপস

|

ছবি: সংগৃহীত।

বাঙালি নারী মানেই স্বর্ণের প্রতি ঝোঁক। প্রিয় স্ত্রী বা মাকে উপহার হিসেবে স্বর্ণের গহনা দেয়ার চলও পুরনো। তবে স্বর্ণের মতো এমন দামি বস্তু কিনে ঠকছেন কি না তা বোঝা খুবই জরুরি। বিশেষ করে স্বর্ণের ক্রেতা হিসেবে আপনি যদি নতুন হন। এ জন্য বিশেষ কিছু বিষয় বা টিপস জেনে নেয়া ভালো।

এ ক্ষেত্রে, প্রথমেই জানতে হবে যে স্বর্ণ কিনছেন, সেটা কতটা খাঁটি। মোটা দাগে, ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ হলো খাঁটি। ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ ৯৯.৯ শতাংশ খাঁটি। কিন্তু দোকানে সাধারণত ২২ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়েই অলঙ্কার তৈরি করা হয়। দেখে নিতে হবে গহনায় যেন ২২ ক্যারেটের স্বর্ণই দেয়া হয়। ২২ ক্যারেট স্বর্ণ মানে ৯১.৬ শতাংশ খাঁটি। ২১ ক্যারেটে থাকে ৮৭ শতাংশ এবং ১৮ ক্যারেটে থাকে ৭৫ শতাংশ।

এ ছাড়া স্পেকট্রোমিটার নামে একটি যন্ত্রে স্বর্ণ মাপার পরে খাদের পরিমাণ ধরা যায়। যন্ত্রই বলে দেবে কত ক্যারেটের সোনায় গহনা বানানো হয়েছে। সুতরাং, স্পেকট্রোমিটার মেশিনে মেপে খাদ যাচাই করেই স্বর্ণ কেনা উচিত।

বেশি পরিমাণে গহনা বিক্রির জন্য অনেক সময়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ‘মেকিং চার্জ’-এর উপর বাড়তি ছাড় দেয়ার কথা বলেন। কেনার আগে অবশ্যই জেনে নেয়া উচিত ছাড় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। কোথাও কোনও গুপ্ত খাতে বেশি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে কি না, তা যাচাই করা দরকার। আবার একই গহনার দাম বিভিন্ন দোকানে এক এক রকমের হয়। তার কারণ হতে পারে স্বর্ণ মান বা মেকিং চার্জ। ফলে কেনার আগে একাধিক দোকানে গিয়ে দাম যাচাই করা উচিত। না হলে ঠকার ভয় থাকে।

বাজার দেখে বুঝতে হয় স্বর্ণ বিনিয়োগ করা ঠিক হচ্ছে কি না। সোনার গহনায় পাথরের কাজ থাকলে, তা দেখতে ভাল লাগে, কিন্তু তার দামও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। অথচ, পরে সেই গয়না বিক্রি করলে পাথরের দাম পাওয়া যায় না। ফলে, স্বর্ণের গহনায় পাথর না থাকাই বেশি ভাল।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply