উন্নয়নের জন্য বন উজাড় আবশ্যক: ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশমন্ত্রী

|

ছবি: সংগৃহীত।

জলবায়ু পরিবর্তন বন্ধে স্কটল্যান্ডের গ্লাসকোয় অনুষ্ঠিত কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন বিশ্বনেতারা। ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় শুন্যে নামিয়ে আনতে চান তারা। এই চুক্তিতে বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের মতো ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো স্বাক্ষর করলেও উল্টো কথা শোনালেন দেশটির পরিবেশমন্ত্রী সিতি নুরবায়া বকর। খবর রয়টার্সের।

এর আগে গত সোমবার (১ নভেম্বর) গ্লাসকোতে এক হন শতাধিক বিশ্বনেতা। তাদের উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির বিষয়বস্তু ঘোষণা করা হয় বিশ্বের কাছে। এ নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি স্টেটাস পোস্ট করেন ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশমন্ত্রী।

সেখানে বন উজাড় বন্ধ কখনওই সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য বনাঞ্চল কাটতেই হবে। দেশের বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ অবশ্যই দেশের মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করবে ইন্দোনেশিয়া। আর নতুন রাস্তা-ঘাট বানানোর জন্য বন কাটার বিকল্প নেই।

এই চুক্তি ইন্দোনেশিয়ার ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও মনে করেন এই মন্ত্রী। বলেন, বন কাটা বন্ধ করা নিয়ে ইন্দোনেশিয়াকে চাপ দেয়া অনৈতিক। প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর আমলে যে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে তা চালু থাকবেই।

এ দিকে, উন্নয়নের নামে বনাঞ্চল ধ্বংসের প্রবণতা বেড়েই চলেছে ইন্দোনেশিয়ায়। বিশ্বের বিভিন্ন অংশের বনাঞ্চলের ওপর নজরদারি করা ওয়েবসাইট ‘গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ’ বলছে, ২০০১ সালে দেশটিতে মূল বনভূমি ছিল ৯ কোটি ৪০ লাখ হেক্টর। ২০২০ সাল পর্যন্ত এই বনভূমি ১০ শতাংশ কমেছে। আর এই প্রবণতা এখনও অব্যহত।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply