বিশ্ব থেকে সাড়ে ৮ বছর পিছিয়ে যে দেশের ক্যালেন্ডার

|

ছবি: সংগৃহীত।

বিশ্বে ঘটে চলেছে নানা ধরনের অদ্ভুত সব ঘটনা। তবে এবারের ঘটনাটি আসলেই চমকপ্রদ। একটি দেশ সমগ্র বিশ্বের দেশ থেকে সাড়ে আট বছর পিছিয়ে। হ্যাঁ, শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমন ঘটনা ঘটে চলেছে আফ্রিকার একটি দেশে।

ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গোটা বিশ্বে ২০২২ সাল শুরু হয়েছে। কিন্তু এই দেশে এখনো ২০১৩ সাল চলছে। দেশটি আফ্রিকার। এই দেশটিতেই ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত স্থানের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। বিশ্বের গভীরতম এবং দীর্ঘতম গুহা এখানেই। আবার বিশ্বের সব চেয়ে উষ্ণতম স্থানও এই অঞ্চলেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পূর্ণ এই দেশ। দেশটির নাম ইথিওপিয়া।

কিন্তু কেন এই দেশটিতে এখন ২০১৩ সাল? ইথিওপিয়ার ক্যালেন্ডারে বিশ্বের প্রচলিত ক্যালেন্ডার থেকে ৯ বছর পিছিয়ে। এদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার রয়েছে। যেটি চলতি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার থেকে সাড়ে আট বছর পিছিয়ে রয়েছে। এখানে নতুন বছর উদযাপিত হয় ১১ সেপ্টেম্বরে। ১২-র বদলে প্রতি ১৩ মাস পরে এখানে বছর আসে।

আরও পড়ুন: ইথিওপিয়ায় বিমান হামলা, নিহত ৫৬

আর এক আশ্চর্য ব্যাপার রয়েছে এই দেশের দিনপঞ্জিতে। গ্রিক ভাষায় ‘প্যাগিউম’ বা ইংরেজিতে ‘ফরগটেন ডেজ’ নিয়ে ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডারে তৈরি হয় একটি গোটা মাস। মোট কথা, এদের ক্যালেন্ডার এখনো ২০১৩ সালেই আটকে থাকায় ইথিওপিয়ায় ভ্রমণে যাওয়া লোকজনের সে দেশে হোটেল বুকিং ও অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেই বেশ সমস্যা ঘটে।

গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের আগে বিশ্বে চলতো জুলিয়ান ক্যালেন্ডার। ফলে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারকে সরিয়ে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার যখন এলো, তখন অনেক দেশ এই নতুন দিনপঞ্জির বিরোধিতা করেছিল। ইথিওপিয়াও ছিল সেইরকম এক দেশ। তার মানে এই নয় যে, এই দেশটির ক্যালেন্ডার জুলিয়ান অনুসারী। না। বরং ইথিওপিয়ার অর্থোডক্স টিওয়াহেদো চার্চের দিনপঞ্জির সঙ্গেই এদের সরকারি ক্যালেন্ডারের কিছু কিছু মিল পাওয়া যায়।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply