স্পাইডার ম্যান: নো ওয়ে হোম। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর মুক্তির পর পরই তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে সিনেমাটি নিয়ে। গড়ছে একের পর এক রেকর্ড। মহামারির সময়েও প্রিয় স্পাইডার ম্যানকে দেখতে হলিউডের সিনেমা হলগুলোতে দল বেঁধে হাজির ভক্তরা। আর তাতে ডমেস্টিক বক্স অফিস রেকর্ডে সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমা ‘টাইটানিক’কে ডোবালো ‘স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম’। সেই সাথে চলতি বছরের ‘হাইয়েস্ট গ্রসিং ফিল্ম’ তকমা পেয়েছে এটি।
বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। তবুও সিনেমা হল থেকে নামানো যায়নি স্পাইডারম্যান। টানা চতুর্থ সপ্তাহ ধরে চলছে সিনেমাটি। আর এই দৌড়ে সিনেমাটি জায়গা করে নিয়েছে ডমেস্টিক বক্স অফিসের সর্বকালের সেরা আয় করা ১০ সিনেমার তালিকায়।
টম হল্যান্ড ও জেন্ডায়া অভিনীত স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম ডমেস্টিক বক্স অফিসে আয়ের দিক থেকে ষষ্ঠতম ছবি। সিনেমাটির আয় ৬৬৮ মিলয়ন ডলারের বেশি। এরই মধ্যে এটি পেছনে ফেলেছে ‘টাইটানিক’ ও ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’– এর মতো জনপ্রিয় সিনেমাকে।
জেমস ক্যামেরন পরিচালিত এবং কেট উইন্সলেট ও লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও অভিনীত টাইটানিক আয় করেছিল ৬৫৯ মিলিয়ন ডলার। আর জুরাসিক ওয়ার্ল্ড আয় করেছিল ৬৫২ মিলিয়ন ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, ওমিক্রনের প্রভাবে আবার সিনেমা হল বন্ধ হয়ে না গেলে ব্লকবাস্টার ‘অ্যাভেঞ্জারস: ইনফিনিটি ওয়ার’ ও ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’কেও হারিয়ে দিতে পারে এই সিনেমা। সিনেমা দু’টি ডমেস্টিক বক্স অফিসে আয় করে ৬৭৯ মিলিয়ন ও ৭০০ মিলিয়ন ডলার।
স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম সিনেমার আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সব মিলিয়ে আয় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। শুধু বক্স অফিসেই যে রাজত্ব করেছে এমনটি নয়। এই সিনেমা নিয়ে সমালোচকেরাও ভালো রিভিউ দিয়েছেন। রটেন টমেটোসে সিনেমাটিকে ৯৩ শতাংশ ফ্রেশ রেটিং করা হয়েছে। সমালোচকেরা টম হল্যান্ডের অভিনয়েরও প্রশংসা করেছেন। সিনেমায় টম হল্যান্ড ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ, জেমি ফক্স, উইলেম ডেফোসহ অনেকেই।
তবে এখানেই শেষ নয়, স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম এর আয় আরও অনেক দূর গড়াবে। কারণ বিশ্ব সিনেমার সবচেয়ে বড় বাজার চীনে এখনও এটি মুক্তি পায়নি এটি। সেখানে মুক্তি পেলে সিনেমাটি অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে, যা বলার অপেক্ষা রাখে না।
Leave a reply