রাশিয়া-ইউক্রেন বৈঠক নিয়ে যে আশা এরদোগানের

|

ছবি: সংগৃহীত।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো তুরস্কে বৈঠকে বসছেন দেশ দুইটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) তুর্কি শহর আনতলিয়ায় হতে যাচ্ছে উচ্চপর্যায়ের এ বৈঠক। এই বৈঠক থেকেই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথ খুলে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।

বৈঠকের একদিন আগে বুধবার প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, আশা করি রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই বৈঠকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দরজা খুলে যাবে। খবর ডেইলি সাবাহ’র।

এর আগে, বেলারুশ সীমান্তে তিন দফায় দু’দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠক করলেও সংকটের কোন সমাধান আসেনি। তবে তুরস্কের সাথে ইউক্রেন ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় উচ্চ পর্যায়ের এ বৈঠক থেকেই হয়তো আসতে পারে সমাধান- এমনটাই আশা সবার।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, বৈঠকের জন্য আমরা প্রস্তুত। ল্যাভরভের সাথে বৈঠক নিয়ে আমি আশাবাদী। সমস্যা সমাধানে আমরা বসে কথা বলবো। আশা করি, এটি একটি অর্থবহ বৈঠক হবে।

এদিকে, ইউক্রেন ইস্যুতে কথা বলেছে চীনও। সংকট সমাধানে দু’দেশের আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী দেশটি।

তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য দেশ হলেও ন্যাটোভুক্ত অন্যান্য দেশের মতো আচরণ করে না দেশটি। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে ন্যাটো জোটের দেশগুলো রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিলেও শুধুই নিন্দা জানিয়ে ক্ষ্যান্ত হয়েছে তুরস্ক। তারা জানিয়েছে, ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার আচরণ অগ্রহণযোগ্য। তবে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটিও ঠিক নয়। কারণ, এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়ে রাশিয়ার সাধারণ জনগণের ওপর।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply