একদিকে সরবরাহ কম, অন্যদিকে দাম বৃদ্ধি। সব মিলিয়ে অসহনীয় হয়েছে মাছের বাজার। আরও এক দফা বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। তবে খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে পোল্ট্রির দামে। দুয়েকটি সবজির দাম এখনও চড়া। পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দামেও চড়াভাব কাটতে শুরু করেছে। তবে ভোজ্যতেলের সরবরাহে সংকট রয়েছে এখনও।
মাসখানেক আগেও তেলাপিয়া, পাঙ্গাস বা এ জাতীয় চাষের মাছ খানিকটা কম দামে পাওয়া যেতো। কিন্তু রোজা শুরুর পর থেকে এ চিত্র পাল্টেছে। ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজির এসব মাছ কিনতে এখন গুনতে হবে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। এক কেজি মাঝারি আকারের চিংড়ির জন্য দিতে হচ্ছে সাড়ে ছয়শো থেকে সাতশো টাকা। নদ-নদীর বিভিন্ন জাতের মাছের দাম এক সপ্তাহের ব্যাবধানে কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
মাছের পাশাপাশি গরু আর খাসির মাংসের বাজারও বেশ চড়া। এক কেজি গরুর মাংসের জন্য গুনতে হবে ৬৮০ থেকে ৭শ টাকা। আর খাসির মাংসের স্বাদ নিতে চাইলে দিতে হবে ৯শ টাকার বেশি। তবে খানিকটা স্বস্তি এসেছে পোল্ট্রির বাজারে। কেজিতে ২০ টাকা কমে ব্রয়লার মিলছে ১৬০ টাকায়। তবে সোনালি জাতের জন্য গুনতে হবে ২৮০ টাকা।
গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। তাই দাম কিছুটা কমলেও বেগুন, করলাসহ দুয়েকটি সবজির দাম এখনও ৮০ টাকা কেজি। একশো টাকা কেজির নিচে মিলছে না কাঁচামরিচ। রমজানের শুরুতে বৃদ্ধি পাওয়া পেঁয়াজ-আদা-রসুনের দামও কমতে শুরু করেছে।
তবে সুখবর নেই ভোজ্যতেলের বাজারে। কৃত্রিম সংকটের বেড়াজাল থেকে বের হতে পারেনি অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যটি। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার বিপরীতে নূন্যতম সরবরাহ করছে না কোম্পানিগুলো। এরই মধ্যে বাজারে আবার বাড়তে শুরু করেছে চিনির দাম। কেজিতে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
/এডব্লিউ
Leave a reply