মিয়ানমারের শরণার্থীদের জোরপূর্বক দেশে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে থাইল্যান্ড সরকারের বিরুদ্ধে। এতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে এসব শরণার্থীর জীবন। দেশে ফিরে প্রাণহানির শঙ্কায় অনেকেই অবস্থান করছে দু’দেশের সীমান্তে। এ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। খবর এবিসি নিউজের।
নিজ দেশে ফিরলে প্রাণহানির শঙ্কা। আর নিরাপদ আশ্রয় থাইল্যান্ডও এখন থাকতে দিতে নারাজ। ফলে সীমান্ত এলাকায় অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে মিয়ানমারের হতভাগ্য এসব মানুষের।
গেল বছর সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় দেশ ছাড়তে বাধ্য হয় অনেকে। তাদের কেউ কেউ আশ্রয় নেয় প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে। তবে সম্প্রতি শরণার্থীদের জোর করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে থাই সরকারের বিরুদ্ধে।
দ্যা বর্ডার কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক শেলি থমসন বলেন, অসহায় মানুষগুলোর প্রতি থাইল্যান্ডের এমন আচরণ সবচেয়ে উদ্বেগের। এই মুহূর্তে তাদের যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হলো নিরাপদ আশ্রয়। মিয়ানমারে স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত সেখানে তারা নির্বিঘ্নে থাকতে পারবে।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন UNHCR। তারা শরণার্থী ফেরত পাঠানোকে আইনের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছেন। এর পেছনে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ফোর্টিফাই রাইটসের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ প্যাট্রিক ফোংসাথোর্ন জানান, থাই সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছে। ঘটনার মোড় অন্যদিকে নেয়ার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক কূট চাল আছে। মিয়ানমারের জান্তার সাথে থাইল্যান্ডের সুসম্পর্ক রয়েছে। ফলে শরণার্থী সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে মুখ খোলে না থাই সরকার।
যদিও এসব সমালোচনাকে তোয়াক্কাই করছে না থাইল্যান্ড সরকার। তাদের দাবি, মিয়ানমারের পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো। তাই শরণার্থীদের ফিরতে হবে নিজ দেশে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার অস্থিতিশীল হলে দেশটির অন্তত ১৭ হাজার বাসিন্দা আশ্রয় নেয় থাইল্যান্ডে। এরই মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো রাশিয়া
ইউএইচ/
Leave a reply