সামান্য প্রত্যাশায় শুরু করে আইপিএলের সেরা বাটলার

|

ছবি: সংগৃহীত

সামান্য প্রত্যাশা নিয়েই এবারের আইপিএলে খেলতে এসেছিলেন ইংলিশ মারকুটে ব্যাটার জস বাটলার। তবে রাজস্থান রয়্যালসকে আসরটির ফাইনালে নিয়ে যেতে যেভাবে আগুন ঝরিয়েছে তার ব্যাট, তাতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট, ব্যাটিং কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারার কাছ থেকে বেশ বড় সার্টিফিকেটই পাচ্ছেন বাটলার। সাঙ্গার মতে, আইপিএলের ইতিহাসে এমন দুর্দান্ত ব্যাটিং কাউকে করতে দেখেননি তিনি।

আইপিএল কোয়ালিফায়ার টু’র ম্যাচে দলকে ফাইনালে নিতে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে জস বাটলারের ব্যাট। ৬০ বলে ১০৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অনেকটা যেন একাই দলের জয় এনে দিয়েছেন তিনি। সেই সাথে এক মৌসুমে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরির দেখাও পান বাটলার। এখন ফাইনাল ম্যাচে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার ওয়ার্নারকে টপকে যাওয়ার হাতছানি থাকছে বাটলারের সামনে।

শেষ চারের লড়াইয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারাতে বাটলারের ব্যাটই যথেষ্ট ছিল। ১৫৮ রানের টার্গেটের মধ্যে ১০৬ রানই এসেছে তার ব্যাট থেকে। আগামী ২৯ মার্চ গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি হবে বাটলারের দল রাজস্থান। দলকে ফাইনালে নেয়ার পথে এই মৌসুমে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরিও করে ফেলেছেন বাটলার। ১৬ ম্যাচে ৮২৪ রান এখন বাটলারের ঝুলিতে।

ছবি: সংগৃহীত

আরসিবির বিপক্ষে ম্যাচে ১০টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কার এমন ইনিংস খেলে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিতে বাটলার ছুঁয়ে ফেলেছেন সাবেক আরসিবি অধিনায়ক ভিরাট কোহলিকে। এর আগে ২০১৬ সালে নিজের সেরা ফর্মে এক মৌসুমে ৪ টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ভিরাট। সেবার ভিরাট এক মৌসুমে ৯৭৩ রান করেছিলেন । সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় অবশ্য শীর্ষে এখনও ভিরাটই আছেন। সাথে ৮৪৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন ডেভিড ওয়ার্নার।

স্টার স্পোর্টসকে জস বাটলার বলেন, এই মৌসুমে আমি এসেছিলাম খুবই সামান্য প্রত্যাশা ও অনেক বেশি আগ্রহ নিয়ে। এখন আমরা যেখানে আছি, সেখানে পৌঁছুতে পেরেছি দলের সবাই দারুণ খেলছে বলে। ফাইনালের ব্যাপারে আমি দারুণ উত্তেজিত।

এদিকে, বাটলারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কুমার সাঙ্গাকারা। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট বলেন, বাটলারের শক্তির জায়গা অনেক। সে স্পিনে দুর্দান্ত। যেকোনো সময় রানের গতি বাড়িয়ে দিতে পারে। ৩০ বলে ৩০ রান থেকেই সে ৫০ বলে চলে যেতে পারে ৮০-৯০ রানে। এই মৌসুমে সে যা করেছে তা বর্ণনা করা কঠিন। শুরুতেই ব্যাটে বল না পেলে শান্ত হয়ে কিছুটা সময় কাটায়। বোলারদের কচুকাটা কিছুক্ষণ পরে করে সে। বাটলার মেনে নিয়েছে, সে আউট হতে পারে যেকোনো সময়। সে মেনে নিয়েছে সে মানুষ এবং প্রতিদিন একই রকম খেলা সম্ভব না। কিন্তু নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছে সে, যেখানে সবার পক্ষে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। যেকোনো পরিস্থিতি থেকেই সে ম্যাচ বের করতে পারে, হাতে আছে সব ধরনের স্ট্রোক। খেলার মেজাজটাও বুঝতে পারে দারুণভাবে। আইপিএল ইতিহাসে এতটা ভালো ব্যাট করতে আর কাউকে দেখেছি কিনা, ঠিক মনে করতে পারছি না।

এখনও ফাইনাল ম্যাচ বাকি বাটলারের। দেখার বিষয়, সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় ওয়ার্নারকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে যেতে পারবেন কিনা রাজস্থানের কাণ্ডারি জশ বাটলার।

আরও পড়ুন: বিধ্বংসী বাটলারের সেঞ্চুরিতে কোহলিকে হতাশ করে আইপিএলের ফাইনালে রাজস্থান

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply