আবারও যমজ তিন শিশুর নাম রাখা হলো স্বপ্ন, পদ্মা, সেতু

|

নবজাতক তিন শিশু।

স্টাফ রির্পোটার, নেত্রকোণা:

নেত্রকোণা শহরের মুক্তারপাড়া সেন্ট্রাল প্রাইভেট হাসপালে এক প্রসূতি মা একসাথে তিন সন্তানের জন্ম
দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাতে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আফরিন সুলতানা সিজারের মাধ্যমে ওই তিন শিশুর প্রসব করান। চিকিৎসক জানিয়েছেন শিশু তিনজন ও মা সুস্থ আছেন। নবজাতক ওই তিন শিশুর নাম রাখা হয়েছে স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু।

সেন্ট্রাল প্রাইভেট হাসপালের ম্যানেজার মো. এনামুল লতিফ বলেন, জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান শিয়াধার ইউনিয়নের খুরশিমুল দাসপাড়া গ্রামের প্রসূতি রুমেনা আক্তার হাসি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই হাসপাতালে ভর্তি হন। রুমেনা আক্তার হাসির স্বামী শেখ সাদী বলেন, পাঁচ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের বাড়ি মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান শিয়াধার ইউনিয়নের খুরশিমুল দাসপাড়া গ্রামে। তবে স্থায়ীভাবে মোহনগঞ্জ পৌর শহরে বসবাস করেন তারা।

বৃহস্পতিবার তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে নেত্রকোণা শহরের সেন্ট্রাল প্রাইভেট হাসপালে ভর্তি করা হয়। পরে ওই হাসপাতালে সিজার করা হলে তাদের তিনটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তিন শিশু ও মা সুস্থ রয়েছেন।

ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আফরিন সুলতানা বলেন, তিন নবজাতক শিশু ও তাদের মা সুস্থ রয়েছে। তাদের কোনো সমস্যা নেই। শিশুরা স্বাভাবিকভাবেই মায়ের বুকের দুধ খাচ্ছে। তাদের কারো কোনো সমস্যা নেই।

যমজ তিন শিশুর এমন নামকরণ এই প্রথম নয়। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বরিশাল নগরীর বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়কে ডা. মোখলেছুর রহমান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও যমজ তিন শিশুর জন্ম দেন নুরুন্নাহার বেগম। তিনি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি এলাকার বাদলপাড়ার বাসিন্দা ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের চালক বাবু সিকদারের স্ত্রী। তাদের নাম রাখা হয় স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু।

এর আগে গত শুক্রবার (১৭ জুন) নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় একসাথে তিন শিশুর জন্ম হয়। তাদের মধ্যে একটি ছেলে শিশু এবং ২টি কন্যা শিশু। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বন্দর এলাকার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা অ্যানি বেগম (২৪) ও আশরাফুল ইসলাম অপুর (৩৪) দম্পতির কোল আলো করে আসে এই তিন শিশু। নবজাতক ছেলে শিশুর নাম রাখা হয় স্বপ্ন আর দুই কন্যা শিশুর নামকরণ করা হয় পদ্মা ও সেতু।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply