কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠান। শহরের গুরুত্বপূর্ণ আটটি পয়েন্ট থেকে সরাসরি দেখানো হয় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার ও কলকাতা পৌরসভা। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাবিদ, চলচ্চিত্র পরিচালকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি রঞ্জন সেন জানান, কলকাতার মানুষকেও এ ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী করতে অনুরোধ জানানো হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ও কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার থেকেই পার্ক সার্কাস, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালসহ কয়েকটি জায়গায় ডিজিটাল বিলবোর্ডে দেখানো হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নানা প্রস্তুতির চিত্র।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য পবিত্র সরকার বলেন, দুই দেশের জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত, ব্রিজ হওয়া। আর চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ বলেন, এই যে ব্রিজ হয়েছে, এটা খুব যত্ন করে করা হয়েছে। দেখলাম, নদীর যে গতিপথ তা যেন ব্যাহত না হয়, তা ঠিক রাখা হয়েছে।
কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, সেতুটি নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে। অনেক কিছু বলা হয়েছে, অনেক দুর্নাম দেয়া হয়েছে। প্রমাণ করেছি প্রত্যেকটা মিথ্যা ছিল। প্রত্যেকটি কোনো ষড়যন্ত্র থেকে হোক, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুল বুঝা থেকে হোক, সেগুলো আমরা অতিক্রম করতে পেরেছি।
/এমএন
Leave a reply