২ হাজারের বেশি কনটেইনারে থাকা বিপজ্জনক রাসায়নিক নিয়ে ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম বন্দর। সীতাকুন্ডের বিএম ডিপো ট্রাজেডির পর এসব দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ সরাতে তৎপর বন্দর কর্তৃপক্ষ। অবাধে আমদানি হলেও আগে থেকে ঘোষণা দেয় না কেউ। ফলে বিএম ডিপোর চেয়েও বেশি ঝুঁকিতে বন্দর।
বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবহারকারিদের জন্য দিয়েছে ১৭ নির্দেশনা। কিছু নিয়ম বাধ্যতামূলক করলেও আমদানিতে নেই কোনো নিষেধাজ্ঞা।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, আগুন লাগার উপাদান থাকলে আগুন লাগবেই। চট্টগ্রাম বন্দরেও যেসব কেমিক্যাল পদার্থ আমদানি-রফতানি হচ্ছে, এগুলো ঠিকমতো প্যাকেজিং-মার্কিং করা হয় না।
বন্দর কর্তৃপক্ষের ১৭ নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম হলো, আগাম ঘোষণা বাধ্যতামূলক। ৩ দিনে ডেলিভারি নেয়া, না হয় ১০ গুণ জরিমানা।
রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞা দিই নাই। আমরা বলছি, সবাই যেন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করে।
নতুন নিয়মকে স্বাগত জানালেও সব সংস্থার অনুমতি একসাথে পেতে ওয়ান স্টপ সেন্টার চালুর দাবি স্টেকহোল্ডারদের
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, সবাই বন্দরের নিরাপত্তা চাই। এই নিরাপত্তার খাতিরে বিষয়টি সামনে আনছি না। যতটুকু কষ্ট হয়, আমরা নিয়ম মেনে পালন করছি।
ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বললেন, এলসিতে পণ্যের সঠিক বর্ণনা যেন দেয়া হয়। বিপজ্জনক পদার্থ হলে তা যেন লেখা থাকে। তাতে সবাই নিরাপদ থাকে। এ বন্দরে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে আমাদের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
এর আগে ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের শেডে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরনের ঘটনায় আহত হয় কয়েকজন।
/এমএন
Leave a reply