ময়নাতদন্ত শেষে পরিবার পেল পুলিশের ‘গুলিতে’ নিহত মোতালেবের মরদেহ

|

দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় ভোট গণনার সময় কেন্দ্রের বাইরে সহিংসতায় নিহত আব্দুল মোতালেবের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। চলছে দাফনের প্রস্তুতি। তার বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম।

রোববার (২৯ এপ্রিল) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষে ভোটকেন্দ্রেই ফলাফল দেয়ার দাবিকে কেন্দ্র করে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করে। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বিক্ষোভকারীরা চৌরঙ্গী বাজারে অবস্থান নেয়। এসময় দোকানে পণ্য কিনতে যাওয়া ৭০ বছর বয়সী কৃষক মোতালেব সেখানে আটকা পরেন।

স্বজনদের অভিযোগ, তাকে মারধর ও গুলি করে পুলিশ হত্যা করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরিবারের দাবি- মোতালেব কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, বিরল উপজেলার আজিমপুর ইউপির সিংগুইল হামিদ হামিদা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গণনার পর প্রিজাইডিং অফিসার ফলাফলের কাগজ দিচ্ছে না বলে কেন্দ্রের বাইরে অপপ্রচার চলতে থাকে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আল মামুনের (মোটর সাইকেল প্রতীক) কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সেটি সহিংসতায় রূপ নেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।

রাতে বিরল থানার ওসি গোলাম মাওলা শাহ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করা হয়েছে। তবে কতো রাউন্ড গুলি করা হয়েছে তা হিসাব না করে বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply