হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীসহ আটক ২

|

গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুরের টঙ্গীতে পারিবারিক কলহের জেরে প্রথম স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামী কবির মিয়া ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় টঙ্গীর তিস্তার গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ২০ বছর বয়সী নিহত মেঘলা আক্তার ঢাকার তেজগাঁও নাখালপাড়া এলাকার মো. অপু মিয়ার মেয়ে।

আটককৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার সুধী গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে ২৪ বছর বয়সী কবির মিয়া ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমা আক্তার। কবির দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে টঙ্গীর তিস্তারগেইট এলাকার মোহাম্মদ আলমের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ সজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, অভিযুক্ত কবির মিয়া তিস্তার গেট এলাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমা আক্তারকে নিয়ে ভাড়া থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। দুইদিন আগে প্রথম স্ত্রী মেঘলা তার ছয় মাসের কন্যা সন্তান তাবাসসুমকে নিয়ে বেড়াতে আসেন। রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে প্রথম স্ত্রী মেঘলার সঙ্গে কবির হোসেনের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে কবির ঘরে থাকা হাতুড়ি দিয়ে মেঘলার মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। সোমবার ভোর ছয়টার দিকে বাড়ির মালিক পাপিয়া আক্তার খোঁজ নিতে গেলে রুমের ভেতরে ঢুকতে না দেয়ায় সন্দেহ হলে আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। পরে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় ঘরে প্রবেশ করে অচেতন অবস্থায় মেঘলাকে পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় স্থানীয়রা বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

তিনি আরও বলেন, সকালে ভুক্তভোগী মেঘলার স্বামী নিজে টঙ্গী পূর্ব থানায় এসে জানান তার প্রথম স্ত্রী নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রুমের ভেতর অচেতন হয়ে পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেঘলার মৃতদেহ এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িটি উদ্ধার করে।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কবির হোসেন হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক স্বামী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply