১২ বছরেও মেরামত হয়নি আইলায় বিধ্বস্ত নীলডুমুর ঘাট, দুর্ভোগ চরমে

|

২০০৯ সালে প্রলয়ঙ্করী আইলায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে নীলডুমুর খেয়াঘাট। এরপর নদীভাঙনে চলে যায় বিধ্বস্ত খেয়াঘাটের অবশিষ্ট অংশ। সেই থেকেই দুর্ভোগে এ অঞ্চলের মানুষ। ঘাট না থাকায় নৌকা থেকে তীরে ওঠানামা করতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। দক্ষিণের শেষ জনপদ গাবুরায় যেতে প্রথমেই এমন দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হয় সবাইকে। গত ১২ বছর ধরে অনেকে অনেক আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ হয়নি।

উপকূলীয় জনপদ সাতক্ষীরার গাবুরায় বসতি প্রায় ৫০ হাজার মানুষের। চারপাশ নদীবেষ্টিত এ এলাকায় পৌঁছানোর একমাত্র উপায় নদীপথ। কিন্তু ওপাড়ে যেতে বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের নীলডুমুর খেয়াঘাটে নেই ওঠানামার সিঁড়ি। ২০০৯ সালে প্রলয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আইলায় বিধ্বস্ত হয় ঘাটটি। পরের বছর নদীগর্ভে চলে যায় স্থাপনার বাকি অংশ। নদীভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড যে সিসি ব্লক ফেলেছে এতদিনে তাও সরে গেছে। এতে ঘাট ব্যবহারে কষ্টের সীমা নেই অসুস্থ, বৃদ্ধ আর নারী-শিশুদের।

প্রতিদিন এখান থেকে নদী পারাপার হচ্ছেন ৪-৫ হাজার মানুষ। দ্রুত ঘাটটি সংস্কারের দাবি উপকূলীয় বাসিন্দাদের। অবশ্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আলহাজ নজরুল ইসলাম জানালেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে খেয়াঘাটটি মেরামতে অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। শীঘ্রই সমস্যা সমাধানের আশা করছেন তিনি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply