চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে: এডিবি

|

চলতি অর্থবছর শেষে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। হালনাগাদ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। যদিও সরকার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে সাড়ে ৭ শতাংশ। অভ্যান্তরীণ চাহিদা ও রফতানি কমে যাওয়ায় প্রবৃদ্ধি কমার আভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে এডিবির ঢাকা কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে চলতি বছরের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউট লুক প্রকাশ করা হয়। তাতে উঠে আসে এ তথ্য।

অনুষ্ঠানে এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি এডিমন গিনটিং বলেন, খাদ্য ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে বাড়বে মূল্যস্ফীতি। এ বছর গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমলেও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। করোনা পরবর্তী অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আবারও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ কমতে পারে বলেও মনে করে সংস্থাটি। লেনদেন ভারসাম্যহীনতা দূর করতে এবং ডলার বাজারে স্থিতিশীলতায় সরকারি উদ্যোগের প্রশংসা করেছে এডিবি। তারপরও কিছু ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ আছে বলে জানায়। তা মোকাবেলায় রাজস্ব আদায় এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে জোর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

এডিমন গিনটিং আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপে চাহিদা কমেছে। যার প্রভাবে কমছে রফতানি। অভ্যান্তরীণ চাহিদারও চাহিদা কমেছে। প্রতিকূল আবহওয়ায় কারণে কমে যাবে কৃষি উৎপাদন। বিশেষ করে আমন চাষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সব মিলিয়ে প্রবৃদ্ধি কমে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। তবে এ প্রবৃদ্ধিও অনেক দেশের তুলনায় ভালো।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply