নতুন মাত্রায় ইউক্রেন যুদ্ধ, কালই অধ্যুষিত ৪ অঞ্চলকে সংযুক্তির ঘোষণা দিতে পারে মস্কো

|

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন মাত্রা পেতে পারে আগামীকাল। জানা গেছে, মস্কোতে বর্ণাঢ্য এক আয়োজনে রুশ অধ্যুষিত ৪টি অঞ্চলকে সংযুক্তির ঘোষণা দেবে রাশিয়া। এর মাধ্যমে, ইউক্রেনে নিজেদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে- এমনটাও জানাতে পারেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অবশ্য, রাশিয়ার আয়োজিত ভুয়া গণভোট আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে না। দখলকৃত অঞ্চলগুলো ইউক্রেনের অংশই থাকবে-এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে পশ্চিমাদেশগুলো। খবর এপির।

ইউক্রেনের জাপোরঝিয়া, খেরসন, লুহানস্ক ও দোনেৎস্কে গণভোটের পর এ চার এলাকাকে রাশিয়ার সীমানাভুক্ত করার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। এরইমধ্যে অনুমোদনের জন্য পুতিন প্রশাসনের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছে অঞ্চলগুলোর রুশপন্থি প্রশাসন।

দখলকৃত এলাকাগুলোকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তি নিয়ে রুশপন্থিদের উচ্ছ্বাস থাকলেও বেশিরভাগ স্থানীয় বাসিন্দাই এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। রাস্তায় আটকে জোর করে ব্যালটে সিল নেয়া হয়েছে বলে দাবি অনেকের।

স্থানীয়রা বলছেন, আমরা ভোট দেইনি। নিজেদের ফ্ল্যাটে রাত আটটা পর্যন্ত লাইট বন্ধ করে লুকিয়েছিলাম। কিন্তু যারা বাইরে ছিল, অস্ত্রের মুখে তাদের ভোট আদায় করা হয়েছে। সত্যি বলতে খুব বেশি মানুষ ভোট দেয়নি। আমরা কেউ রাশিয়ায় যুক্ত হতে চাই না। প্রচণ্ড চাপের মুখে রয়েছি, আমরা খুবই ভীত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি।

এদিকে, জোর করে রাশিয়া কর্তৃক আয়োজিত অবৈধ গণভোটকে কখনই স্বীকৃতি দেয়া হবে না- বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। মস্কোর ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ওই অঞ্চলগুলো ইউক্রেনের অংশ হিসেবেই থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র বা মিত্ররা কখনই ওই অঞ্চলে রুশ দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেবে না। বরং আরও বড় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে মস্কোকে।

মস্কোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশনও। নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দিয়েছেন ইইউ কমিশনের প্রধান ভন দের লিঁও।

ইউরোপীয় কমিশন প্রেসিডেন্ট ভন দের লিঁও বলেন, আমরা কিছুতেই ভুয়া এ গণভোটের স্বীকৃতি দেবো না। অবৈধ দখলদারিত্বের জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে ক্রেমলিনকে। ইতোমধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার নতুন প্যাকেজের প্রস্তাব দিয়েছি। রাশিয়া যাতে সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করতে না পারে সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এদিকে, রাশিয়ার মিত্র সার্বিয়া ও কাজাখস্তানও এ গণভোটকে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছে। আর দখলকৃত সব অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার প্রত্যয় জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply