যুক্তরাষ্ট্রে আরএসভি সংক্রমণ, আশঙ্কাজনক হারে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

|

যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে শিশুদের আরএসভি সংক্রমণ। বেশিরভাগ হাসপাতালেই ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছে। স্থান দিতে না পারায় বাইরে তাবু তৈরি করেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে নবজাতকরা। বাইডেন প্রশাসনকে জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারির তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিস্তার ঠেকাতে করোনাকালীন সময়ের মতো সাবধান থাকার পরামর্শও দিয়েছেন।

গোটা যুক্তরাষ্ট্রেই আশঙ্কাজনকভাবে ছড়াচ্ছে রেসপাইরেটরি সিনশিয়াল ভাইরাস। মূলত ফুসফুসকে আক্রান্ত করে ভাইরাসটি। দেখা দেয় কাশি ও শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা। ছড়ায়ও কাশির মাধ্যমেই। স্বাভাবিকভাবে মৃদু লক্ষণ থাকলেও শিশু ও বয়স্কদের জন্য হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ২/৩ বছরে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে কোভিড মহামারি। যার প্রভাবে এবছর বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে আরএসভি সংক্রমিত শিশুরা।

প্রভিডেন্স মিশন হসপিটালের কো-ডিরেক্টর ড. জিম কেয়ানি বলেন, আরএসভি মূলত বিভিন্ন বয়সের ওপর আলাদা প্রভাব ফেলে। ইমিউন সিস্টেমের ওপরও নির্ভর করে। শিশু ও বয়স্করা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন নবজাতকরা। এ বছর শিশুরা বেশি দুর্বল হয়ে পড়ছে। বাইরে যাওয়ায় সুযোগ না পাওয়ায় সঠিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোর ৭০ শতাংশ রোগীই এখন শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। আইসিইউর ওপরও বাড়ছে চাপ। বেড না থাকায় বাইরে তাবু খাটিয়েও চলছে চিকিৎসা। মার্কিন রোগতত্ত্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থার তথ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর গড়ে ৫ বছরের কম বয়সী ৫৮ হাজার শিশু ও ৬৫ ঊর্ধ্ব ১ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয় আরএসভিতে।

আরএসভির কোনো টিকা আবিষ্কৃত হয়নি এখনও। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে একটি ভ্যাকসিন অনুমোদনে আবেদনের কথা জানিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজার। সিয়াটল হাসপাতালেও চলছে গবেষণা। তবে আপাতত বিস্তার ঠেকাতে সাবধান থাকার পরামর্শই দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply