রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট সমাধানে চলছে দোষারোপের রাজনীতি

|

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ ও ইউক্রেনীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেভা।

দোষারোপের রাজনীতি চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট সমাধানে। জেলেনস্কি প্রশাসনের প্রতি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কড়া বার্তা- পশ্চিমাদের হাতের পুতুল না হয়ে, মনোযোগ দিন নিজ স্বার্থে। না হলে, ভোগ করতে হবে করুণ পরিণতি। আর, কিয়েভের আশঙ্কা, জাতিসংঘের উদ্যোগে শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করলেও মস্কো তাতে যোগ দেবে না। খবর রয়টার্সের।

ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে। অব্যাহত আছে রুশ-ইউক্রেনীয় সেনাদের সম্মুখ সমরও। রুশ সেনাদের টার্গেট করতে নিকটবর্তী বাখমুত অঞ্চলকে বেছে নিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা। রুশ সেনাঘাটিগুলোকে লক্ষ্য করে চলছে একের পর এক গোলাবর্ষণ, নিক্ষেপ করা হচ্ছে মিসাইল ও ড্রোন রকেট।

অপরদিকে, বাখমুতের দখল নিতে মরিয়া রুশ সেনারা ক্রমেই আরও অগ্রসর হচ্ছে আরও পূর্বের দিকে। ফলে ফ্রন্টলাইনের সেনারা বেশ কঠিন পরিস্থিতে রয়েছেন বলে জানালেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধাদের সম্পর্কে বলেন- বাখমুত, ক্রেমিনাসহ দোনবাসের আরও বেশ কিছু এলাকা এখন সবচেয়ে সংঘাতময়। সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। দখলদাররা সেখানে তাদের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করছে। আমাদের সেনারাও তাদের প্রতিহত করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। মিত্র দেশগুলোর প্রতি আহ্বান, আপনারা সহায়তা চালিয়ে যান। আমাদের সেনারা দখলদারদের ইউক্রেন থেকে বিতাড়িত করবে।

এদিকে, সংকট সমাধানে রাশিয়ার আলোচনার ইঙ্গিত নিয়ে চলমান জল্পনার মাঝেই এবার কিয়েভকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। পশ্চিমাদের ইশারায় না চলে, নিজ স্বার্থ রক্ষায় সমঝোতা প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান তার।

ইউক্রেনকে সতর্ক করে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, রুশ নিয়ন্ত্রিত নতুন অঞ্চলসহ পুরো ভূখণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অঞ্চলটিকে নাৎসিমুক্ত করাসহ আরও অনেক বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিয়েভের উচিত, নিজেদের স্বার্থেই মস্কোর সাথে সমঝোতা করা। অন্যথা, রুশ সেনারা নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

এদিকে, সমঝোতা নিয়ে রাশিয়ার নানা মন্তব্যের মাঝেই এবার মুখ খুললো জেলেনস্কি প্রশাসন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেভা জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মধ্যস্থতায় আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি শান্তি আলোচনায় বসতে চায় ইউক্রেন। তবে ওই আলোচনায় রাশিয়া অংশ নেবে না বলে আশঙ্কা তার।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply